বিজ্ঞাপন

ঢাবিতে সিট দখলে গিয়ে ২ ঘণ্টা হাতাহাতি

June 6, 2022 | 12:24 pm

ঢাবি করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: সিট দখলকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীদের মধ্যে হট্টগোল ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।

বিজ্ঞাপন

রোববার (৫ জুন) রাত দশটা থেকে হট্টগোল শুরু হয়। হল ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর শিকদার ও সাধারণ সম্পাদক মিশাত সরকারের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পালটা ধাওয়া এবং হাতাহাতি চলে টানা দুই ঘণ্টা।

সূত্র জানায়, উভয়পক্ষের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী হলের পূর্ব অংশের দোতলার ২২ নম্বর কক্ষের সামনে গিয়ে অবস্থান নেয়। এক পক্ষ আরেক পক্ষকে ধাওয়া দেয়। এক পর্যায়ে ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতি শুরু হয়। দুই ঘণ্টা ধরে উত্তেজনা শেষে হল ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গিয়ে তাদেরকে শান্ত করেন।

যে সিট নিয়ে সমস্যার সূত্রপাত, সে সিটে থাকতেন ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস ও জালিয়াতির অভিযোগে ২০২০ সালের শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কৃত ছাত্রলীগের সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মাসুদ রানা (২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ)। বহিষ্কৃত হলেও হল সংসদের ভিপি এম এম কামাল উদ্দিনের সঙ্গে রাজনীতির সুবাদে মাসুদ রানা অবৈধভাবে হলে থাকতেন। মাঝে করোনার দীর্ঘ বন্ধের পর বিশ্ববিদ্যালয় খুললে আবারও তিনি হলে থাকা শুরু করেন।

বিজ্ঞাপন

সম্প্রতি মাসুদ রানা হল ছেড়ে দিলে, সেখানে হল ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর শিকদার এক শিক্ষার্থীকে তুলে দেন। তবে সাধারণ সম্পাদক মিশাত সরকার ওই সিট তাদের দাবি করে সেখানে আরেকজনকে উঠাতে চাইলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।

হল ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর শিকদার বলেন, মাসুদ রানা ছেড়ে দেওয়ার পর গত এক সপ্তাহ ধরে ওই সিটে জয়পুরহাটের অন্য এক শিক্ষার্থী থাকছে। মাসুদের বাড়িও ছিল জয়পুরহাট। হুট করে সেক্রেটারি গ্রুপের ছেলেপেলে দাবি করছে, এটা তাদের সিট। তারা ওই শিক্ষার্থীকে নামিয়ে দিয়ে ওখানে আরেকজনকে উঠানোর চেষ্টা করে। এটা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছে।

অন্যদিকে হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিশাত সরকার বলেন, মাসুদ যে অঞ্চলের সেই অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা তার সঙ্গে রাজনীতি করে। মাসুদ রানা চলে যাওয়ার পর এই সিট তাদেরকে দিয়ে গেছেন। কিন্তু ওরা জোরপূর্বক সেখানে আরেকজন উঠিয়ে দেয়। এটা নিয়ে জুনিয়রদের মধ্যে একটু কথা কাটাকাটি হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত প্রভোস্ট মো. বেলাল হোসেন বলেন, ‘দুই গ্রুপের সঙ্গে কথা বলতে হবে। কথা বলে সমাধান করা হবে।’

সারাবাংলা/আরআইআর/একেএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন