বিজ্ঞাপন

‘পদ্মা সেতু ছাড়া বাংলাদেশের সামনে আর কিছু নেই’

June 6, 2022 | 3:29 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: পদ্মা সেতু ছাড়া বাংলাদেশের সামনে আর কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (৬ জুন) দুপুরে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনেতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এখন শোষকের দলের পরিণত হয়েছে। এখন আর শোষিতের পক্ষে কথা বলার সুযোগ তাদের নেই। কারণ, তারাই এখন শোষক হয়ে গেছে, শোষণ করছে বাংলাদেশকে। এখন তারা লুট করছে, দুর্নীতি করছে, অর্থ পাঁচার করছে। মানুষের সমস্ত আশা-আকাঙ্ক্ষা ধবংস করে দিচ্ছে। এখন তো বাংলাদেশের সামনে আর কিচ্ছুই নেই, পদ্মা সেতু ছাড়া আর কিছুই নেই।’

সীতাকুণ্ড বিস্ফোরণ তদন্তে নিরপেক্ষ কমিশন দরকার

বিজ্ঞাপন

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি মনে করি যে, এই ঘটনার জন্য অবিলম্বে একটা নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন গঠন করা উচিত। এর জন্য যারা দায়ী তাদের খুঁজে বের করা দরকার। কী ভয়াবহ? মানুষের বডি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, একেবারে অগ্নিদগদ্ধ হয়ে গেছে চিনা যাচ্ছে না। হঠাৎ করে যে বিস্ফোরণ হবে- এটাও তারা বুঝতে পারেনি। যার ফলে এই ঘটনাগুলো ঘটেছে।’

নিহতদের পরিবারগুলোকে ক্ষতিপুরণ দেওয়া এবং আহতদের সঠিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করার দাবি জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একই সঙ্গে এই ঘটনায় হতাহতদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপুরণ এবং দেশের সকল কন্টেইনার ডিপোতে তদারিক ব্যবস্থা চালু করারও দাবি জানান তিনি।

কেমন তদন্ত কমিশন চান জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি কিন্তু এখন পর্যন্ত অতীতের কোনো ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন দেখিনি। আমরা যখন নিরপেক্ষ কথাটা বলি, এটা মিন করি যে, দলনিরপেক্ষ এবং সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক নাই যারা এক্সপার্টস আছেন, যারা বিশেষজ্ঞ আছেন, সত্যিকার অর্থে বিষয়গুলো যারা বুঝেন তাদেরকে দিয়ে তদন্ত করা। দল নিরপেক্ষদের দিয়ে তদন্ত করতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘গতকাল একজন আর্মীর দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারের কথা টেলিভিশনে শুনছিলাম- তিনি বলছিলেন যে, তাদের কাছে প্রয়োজনীয় উপকরণ নেই। আজকে আমি এই জায়গায় প্রশ্ন করতে চাই- এই সরকার তাহলে কী করছে? তথাকথিত অবকাঠামো নির্মাণের নামে নিজেদের পকেট ভারী করা, দুর্নীতির করা- এটাই তাদের মূল লক্ষ্য। জনগণের কল্যাণের জন্য, জনগণের সেফটি-সিকিউরিটির জন্য, মানুষকে ভালো রাখার জন্য এই সরকারের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। এই সরকার যেহেতু নির্বাচিত সরকার না সেই কারণে তাদের জবাবদিহিতা নেই।’

সীতাকুণ্ডের বিস্ফোরণে দেশের পোষাকশিল্পে অথবা অর্থনীতিতে কোনো প্রভাব পড়বে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। অলরেডি এই নিয়ে কথা-বার্তা শুরু হয়েছে। কারণ, ইতিমধ্যে তাজনীন ফ্যাক্টরি বা অন্যান্য ফ্যাক্টরি এবং রানা প্লাজার ঘটনার ব্যাপারে গার্মেন্টস যেভাবে একটা নেগেটিভ অবস্থায় এসেছিল। পরবর্তীকালে বায়ারদের সহযোগিতায় আমাদের গার্মেন্টস প্রডিউসার ও মালিকদের আগ্রহের কারণে সেই ব্যাপারটা অনেকটা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছে।’

‘কিন্তু নিরাপত্তার ব্যাপারটা এখন পর্যন্ত সেইভাবে আসেনি। এই ধরনের অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করার মতো প্রয়োজনীয় লোকবল, প্রয়োজনীয় উপকরণ আমাদের নেই’- বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘এই ঘটনার (সীতকুণ্ড বিস্ফোরণ) পর জাতীয় শোক ঘোষণা করা উচিত ছিল। অন্যান্য যেকোনো সভ্য দেশ হলে তাই করতো। আমেরিকাতে যে বাচ্চাগুলো মেরে ফেললো তখনই আমেরিকা জাতীয় শোক ঘোষণা করেছে।’

বিজ্ঞাপন

‘আসলে এই সরকারের সঙ্গে জনগণের কোনো সম্পর্ক নেই। ওরা জনগণের পালস বুঝে না, জনগণ কী চাচ্ছে, কী আশা করছে- সেগুলো নিয়ে তাদের মাথা ব্যাথা নেই। তারা মনে করে আমরা বন্দুকের জোরে ক্ষমতায় টিকে আছি, বন্দুকের জোরে ক্ষমতায় থাকব। সেই কারণে দুঃসময়ে মানুষ যখন একটু সান্তনা আশা করে তখন তারা জনগণের ওপর আরেকটা চাপিয়ে দেয়। তাদের একটাই লক্ষ্য এদেশকে লুট করা’- বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সারাবাংলা/এজেড/একেএম

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন