বিজ্ঞাপন

দীর্ঘমেয়াদি চোখের সমস্যায় ভুগবেন সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে আহতরা

June 10, 2022 | 9:02 am

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: স্বাধীনতা চিকিৎসা পরিষদের মহাসচিব (স্বাচিপ) ডা. এম এ আজিজ বলেছেন, সীতাকুণ্ডে বিএম ডিপোর আগুন ও বিস্ফোরণে আহত ৬৩ জনের চোখের সমস্যা আছে। তাদের বেশিরভাগেরই দীর্ঘমেয়াদি চোখের সমস্যায় ভুগতে হবে। অবশ্যই তাদের নিয়মিত চেকাপের মধ্যে থাকতে হবে।

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ জুন) আহতদের দেখতে আসেন ডা. এম এ আজিজ। আহতদের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে চমেক হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন স্বাচিপ মহাসচিব।

ডা. এম এ আজিজ বলেন, ‘এত বড় একটি মানবিক বিপর্যয়ের পর প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনায় চিকিৎসক, স্বাস্থ্যসেবীসহ সংশ্লিষ্টরা কাজ করে যাচ্ছেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সমন্বয়হীনতা ও ভুল বোঝাবুঝির ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু একটি মহল বিভিন্নভাবে মিথ্যা ও অসত্য প্রচার করে যাচ্ছে। কেউ সমালোচনার ঊর্ধ্বে নন, কিন্তু এমন সমালোচনা করা উচিত নয়, যেটি সমাজের ক্ষতি করে।’

তিনি বলেন, ‘এত বড় মানবিক বিপর্যয়ের পরও একটি মহল এটিকে বিতর্কিত করে হত্যাকাণ্ড বলতে চাচ্ছে। কিছু ভুল ও সমন্বয়হীনতা অবশ্যই আছে, সমালোচনাও হবে। তবে সমালোচনা এমনভাবে করা উচিত না যাতে ঘটনা ভিন্ন দিকে রূপ নেয়।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘এ মুহূর্তে চমেকে ভর্তি হওয়া ৬৩ জন রোগীর কম-বেশি সবার চোখের সমস্যা দেখা দিয়েছে। চিকিৎসকদের ফলোআপে সব রোগী সুস্থ হয়ে যাবেন। তবে তাদের দৃষ্টিশক্তি কম-বেশি ওঠানামা করবে। আহতদের মধ্যে একজনের কর্নিয়া নষ্ট হয়ে যাওয়ায় একটি চোখ বিকল হয়ে গেছে। তিনি ঢাকায় ভর্তি আছেন। তবে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়া যাবে।’

এ সময় সম্মেলন কক্ষে উপস্থিত চমেকের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান সাংবাদিকদের বলেন, সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণের ঘটনায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে এ পর্যন্ত চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৯৯ জন। এর মধ্যে চমেক হাসপাতালের আইসিইউতে থাকা একজনকে অর্থোপেডিক ওয়ার্ডে নেওয়া হয়েছে। তার অবস্থা আগের চেয়ে ভালো। এছাড়া পার্ক ভিউ হাসপাতালে ভর্তি থাকা একজনের অবস্থা এখনো সংকটাপন্ন এবং জেনারেল হাসপাতালে থাকা রোগীর অবস্থাও স্থিতিশীল।

তিনি আরও বলেন, এ পর্যন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে ৪৬টি। এর মধ্যে ২৭ জনের পরিচয় শনাক্ত করে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। চমেক হাসপাতালের হিম ঘরে ১৯ জনের মরদেহ রাখা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসবি/এনএস

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন