বিজ্ঞাপন

মেয়র মুক্তিকে কারাগারেই থাকতে হচ্ছে

June 13, 2022 | 3:07 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: টাঙ্গাইলের আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তিকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত থাকবে বলে আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

বিজ্ঞাপন

একইসঙ্গে, তার জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল তিন সপ্তাহের মধ্যে হাইকোর্টেকে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এর ফলে সাবেক মেয়র মুক্তিকে কারাগারেই থাকতে হচ্ছে।

সোমবার (১৩ জুন) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।

আদালতে মুক্তির পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রোকন উদ্দিন মাহমুদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিত দেবনাথ।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, ২৮ এপ্রিল ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তিকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। একইসঙ্গে মামলাটি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

২৭ এপ্রিল এই মামলায় সহিদুর রহমান খান মুক্তিকে জামিন দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। পরে হাইকোর্টের জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

১০ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ মাসুদ পারভেজ মুক্তিকে জামিন দেন। পরে মামলায় রায় ঘোষণার দিন ২৮ ফেব্রুয়ারি অন্তবর্তী জামিন বাতিল করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এরপর হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন মুক্তি।

বিজ্ঞাপন

২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদের গুলিবিদ্ধ মরদেহ তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিনদিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন। পরে গোয়েন্দা পুলিশ রাজা ও মোহাম্মদ আলী নামে দুজনকে ২০১৪ সালের আগস্ট মাসে গ্রেফতার করে।

আদালতে এ দুজনের দেওয়া স্বীকারোক্তিতে তৎকালীন সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান, তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার তৎকালীন মেয়র সহিদুর রহমান খান, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান ও ছাত্রলীগের তৎকালীন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সানিয়াত খানের জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে আসে। এরপর অভিযুক্ত ব্যক্তিরা আত্মগোপনে চলে যান।

২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে গোয়েন্দা পুলিশ আদালতে আমানুর রহমান খান, তার অপর তিন ভাইসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। আমানুর রহমান খান রানা ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে আত্মসমর্পণ করেন। প্রায় তিন বছর কারাভোগের তিনি জামিনে মুক্ত পান। তার অপর দুই ভাই পলাতক রয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/কেআইএফ/একেএম

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন