বিজ্ঞাপন

সময় এখন আমাদের, আমরাই বাংলাদেশ

December 15, 2017 | 10:28 pm

এন্টারটেইনমেন্ট প্রতিবেদক

বিজ্ঞাপন

১৯৭১, যুদ্ধ চলছে সারাদেশে। কেউ ছুটছেন রণক্ষেত্রে, কেউবা আবার প্রাণ বাঁচাতে হয়েছেন স্বার্থপর, নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটছেন কেউ। একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্ত, মানুষের এই ছুটে চলার সঙ্গে সঙ্গে তৈরি হয়েছে ইতিহাস। এর মধ্যে কত ছোট ছোট গল্প! কত চোখে দেখা গৌরবের মুক্তিযুদ্ধ! কত ঘটনা ক্যামেরার মতো ধারণ হয়ে আছে চোখে। আর হৃদয়টা যেন উপন্যাসের পাতা!

কেমন ছিলেন আমার মা? বাবা-চাচা কিংবা ভাই? সে সময়?

উত্তর গোঁজা আছে অনেকের মনের গহীনে। গল্প উপন্যাসে সে সব গল্প কিছুটা এসেছে, আসছে । তবে চলচ্চিত্র সেই সময়ের ঘটনা নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরেছে তীব্র আবেগ নিয়ে।

বিজ্ঞাপন

খুব সম্প্রতি নির্মিত ও মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘ভূবন মাঝি’। মুক্তিযুদ্ধকালীন এবং বর্তমান, দুই সময়কেই ছবিতে পাওয়া যায় একসঙ্গে। বাস্তব ৭১ এর মতোই সিনেমার ৭১। উদ্দীপনা, সাহস, বীরত্বগাথা সবই আছে ছবিতে।

ছবির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন অপর্ণা ঘোষ। তিনি বললেন, ‘ছবিটি এই সময়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ভূবন মাঝিতে মুক্তিযুদ্ধকে মূল প্রেক্ষাপটে রেখে দেখানো হয়েছে বর্তমান। যেখানে দেশপ্রেম ছড়িয়ে দেয়ার প্রচেষ্টা আছে বড় অংশ জুড়ে।’

দেশের বর্তমানটা কেমন? পরিচালকই বা দেখাতে চেয়েছেন কেমন? তা নির্ণয় করা শিল্পীর কাজ নয়। তবে অভিনেত্রী অপর্ণা আগ্রহ নিয়ে বললেন, ‘ছবির বর্তমানটা আমার কাছে বাস্তবিক বর্তমানের মতোই লেগেছে। এই সময়কে ফুটিয়ে তোলে এমন করেই কাজ করার চেষ্টা করেছি আমরা। তাতে আমাদের মনে হয়েছে, দেশপ্রেমটা আমাদের মধ্যে তীব্র হচ্ছে দিনে দিনে।’

বিজ্ঞাপন

বেশ আশার বানী শোনা গেল অভিনেত্রীর কাছে। সিনেমায় অভিনয় শিল্পীরাই যদি চরিত্রের দরদ উপলব্ধি করেন, তবে সেই অভিনয় গ্রহণযোগ্য হয়ে ওঠে দর্শকের কাছে। তাই ছবির মতো, ভরসা করাই যায় এই সময়ের তরুণদের ওপর।

তরুণের কথা অনেক হলো। কেমন কেটেছে স্বামীহারা মধ্যবয়সী নারীর দিনক্ষণ? নতুন প্রজন্মের কাছে কথাগুলো গল্পই হয়ে থাকতো, যদি না বিভিন্ন চলচ্চিত্রে উঠে না আসতো এমন ঘটনা।

এক্ষেত্রে এ সময়ের একটি উদাহরণ দেয়া যায়। মেঘমল্লার ছবিতে আয়েশা চরিত্র। সুখের সংসার কেমন বিভৎসতায় পরিণত হয়, ছোট করে হলেও, উঠে এসেছে এই ছবিতে। এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন অপর্ণা। ছবিতে আয়েশার চরিত্রের যে বয়স, তার চেয়ে অনেক ছোট হয়েও বেশ সাবলিল অপর্ণা, ‘এই চরিত্রে অভিনয় করার জন্য আমি আমার মা ও নানুকে ফলো করেছি। অনুভব করেছি, যা চরিত্রটি কথা না বলে বোঝাতে চায়। মুক্তিযুদ্ধ যেমন সহজ ছিল না, এই ধরণের ছবিতে অভিনয় করাও সহজ হয় না। আর মুক্তিযুদ্ধের ছবিতে অভিনয় করতে গেলে, কেন যেন খুব সতর্ক হয়ে যাই। বুঝতে পারি এ বিষয়কে আলাদা গুরুত্ব দিচ্ছি।’

সিনেমার পর্দা রূপালি হলেও দেশের জন্য ভালোবাসার কোনো রং নেই। সেই অনুভুতি বিভিন্ন রংয়ে প্রকাশিত হলে, তা আরো হৃদয়গ্রাহী হয়ে ওঠে দর্শকদের কাছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/পিএ/কেবিএন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন