বিজ্ঞাপন

‘শিক্ষকদের জবাবদিহিতা বাজেট বাড়ানোর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ’

June 23, 2022 | 5:24 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: শিক্ষার বিকাশে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ও জবাবদিহিতা বাড়ানো জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, শিক্ষকদের জবাবদিহিতা শিক্ষায় বাজেট বাড়ানোর চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। একইসঙ্গে, বর্তমান বাজেটে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ বাড়াতে হবে। বাজেটের বাস্তবায়ন করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে গণস্বাক্ষরতা অভিযান ও এডুকেশন ওয়াচ আয়োজিত আমাদের শিক্ষা বাজেটের গতি-প্রকৃতি ও আগামীর প্রত্যাশা শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে. চৌধুরী।

উপমন্ত্রী বলেন, এবার বাজেটে শিক্ষাখাতে ৮১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। অনেকগুলো বিভাগ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত। দক্ষতা, কর্মভিত্তিক প্রশিক্ষণও কিন্তু শিক্ষার একটি অংশ। তবে বাজেট বরাদ্দের চেয়ে এর যথাযথ বাস্তবায়ন জরুরি।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ মানব সক্ষমতা। সেখানে পরিবর্তন প্রয়োজন। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। পুরো শিক্ষাব্যবস্থায় যেসব জায়গায় জোর দেওয়া দরকার সেদিকে জোর দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, মানুষের প্রতি বিনিয়োগে প্রধানমন্ত্রী জোর দিতে বলেছেন। অনেকগুলো বিষয়ের দিকে নজর রাখতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মমুখী শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে কি না নজরে রাখতে হবে।

উচ্চশিক্ষার পেছনে যে ব্যয় হচ্ছে সেটি মূল্যায়ন হয় না জানিয়ে উপমন্ত্রী বলেন, ‘পুরো শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে পরিচালনার কাজে যেটি জড়িত সেটি হলো শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ। প্রযুক্তিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে কতোটা সঠিকভাবে গড়ে তোলা হচ্ছে। মুখস্ত বিদ্যাকে আমাদের এখানে বেশি মূল্যায়ন করা হয়। কিন্তু আমরা কারিক্যুলামে পরিবর্তন নিয়ে কাজ করছি।’

বিজ্ঞাপন

নওফেল বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ কি সমাধান? অনেক সময় সেটি হলে শিক্ষার মান কমে যায়। সেখানে ব্যবস্থাপনাগত ঘাটতি তৈরি হয়। তখন বদলির তদবির শুরু হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রাজধানীকেন্দ্রিক মানসিকতা থাকে। দেখা যায় একটি ফাইল অ্যাপ্রুভের জন্য মন্ত্রীর স্বাক্ষর লাগবে। কিন্তু সচিবালয়ে প্রবেশ কতোটা কষ্টকর সেটা আমি জানি। মন্ত্রীর পতাকা পাওয়ার আগে আমারও কষ্ট হতো।

শিক্ষায় প্রধানমন্ত্রী অনেক বরাদ্দ দিচ্ছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ অ্যাকসেসিবিলিটি প্রতিষ্ঠা। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক বড় একটি মডেল। বাজেট বরাদ্দ বাড়ানোটা চ্যালেঞ্জ না, কাঠামোগত পরিবর্তন নিয়ে অনেক কাজ করার আছে। আমরা কোন খাতে বাড়াবো। শিক্ষাকদের প্রশিক্ষণ সবচেয়ে জরুরি এবং জবাবদিহিতা জরুরি।’

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, সংসদ সদস্য আরমা দত্ত বক্তৃতা করেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/টিএস/একেএম

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন