বিজ্ঞাপন

হলমার্কের তুষারকে জামিন দেননি হাইকোর্ট

June 23, 2022 | 9:25 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: সোনালী ব্যাংকের ১৩৫ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় হলমার্ক গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক তুষার আহমেদকে জামিন না দিয়ে বিচারিক আদালতকে মামলাটি ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) বিচারপতি এ এস এম আবদুল মোবিন ও বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে তুষারের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শাহদীন মালিক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী।

পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী বলেন, হলমার্কের তুষার আহমেদকে জামিন না দিয়ে তার বিরুদ্ধে এ মামলাটি ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে এটিও বলে দিয়েছেন, এ সময়ের মধ্যে মামলাটির বিচারকাজ শেষ না হলে তখন যদি তুষার আহমেদ জামিন চান, তবে বিচারিক আদালত যেন তার জামিন আবেদনটি বিবেচনা করেন।

বিজ্ঞাপন

সোনালী ব্যাংকের হোটেল শেরাটন শাখা থেকে ১৩৫ কোটি ৪৪ লাখ ৯ হাজার ৪৮৪ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. নাজমুচ্ছয়াদাত ২০১২ সালের ৪ অক্টোবর রমনা থানায় এ মামলা করেন।

হলমার্ক গ্রুপের ব্যবস্থাপপনা পরিচালক মো. তানভীর মাহমুদ ওরফে তফছীর, চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম ও মহাব্যবস্থাপক তুষার আহমেদ ও সোনালী ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ এ মামলায় ১৮ জনকে আসামি করা হয়।

বিদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের মূল্য পরিশোধের নাম করে হলমার্ক গ্রুপের ১১টি প্রতিষ্ঠানের নামে ভুয়া এলসি (লেটার অব ক্রেডিট) খুলে ২০১১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে এ বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয় আসামিদের বিরুদ্ধে।

বিজ্ঞাপন

তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৬, ৪০৯, ৪২০, ১০৯ ধারার সঙ্গে ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ও অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়। এ মামলায় তুষারকে ২০১২ সালের ৮ অক্টোবর গ্রেফতার করা হয়। তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ৬ অক্টোবর ১৭ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

এরপর ২০১৬ সালের ২৭ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন বিচারিক আদালত। ঢাকা বিশেষ জজ আদালত-১-এ বিচারাধীন মামলাটি বর্তমানে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে বলে জানা গেছে।

সারাবাংলা/কেআইএফ/টিআর

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন