বিজ্ঞাপন

৪ বছর মর্গে পড়ে থাকা মার্কিনির মরদেহ হস্তান্তর

June 24, 2022 | 7:10 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক রবার্ট মাইরন বার্কারের মরদেহ প্রায় চার বছর পর ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গ থেকে মার্কিন দূতাবাসের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। বার্কার মার্কিন নাগরিক হওয়ায় এতদিন তার বাংলাদেশি স্ত্রী মাজেদা বেগম মরদেহ সৎকারের অনুমতি পায়নি। অবশেষে মার্কিন দূতাবাসের মাধ্যমে মাজেদা তার স্বামীর মরদেহ সৎকারের অনুমতি পেলেন।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (২৪ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের কাছে বার্কারের মরদেহ হস্তান্তর করে দক্ষিণখান থানা পুলিশ।

দক্ষিণখান থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আজিজুল হক মিয়া সারাবাংলাকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে থাকা রবার্ট বার্কারের পরিবার মরদেহ দেশে নিতে রাজি হয়নি। মার্কিন দূতাবাস তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে সাড়া না পেয়ে বাংলাদেশেই মরদেহ সৎকারের ব্যবস্থা করেছে। দূতাবাসের তত্ত্বাবধানে বার্কারের মরদেহ গাজীপুরের একটি গির্জায় নেওয়া হয়েছে। রবার্টের বাংলাদেশি স্ত্রী মাজেদা বেগম দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে গাজীপুরে গেছেন।

রবার্ট বার্কারের মৃত্যুর পর তার বাংলাদেশি স্ত্রী মাজেদা বেগম গণমাধ্যমকে বলেন, রবার্ট একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা ছিলেন। আর মাজেদা উত্তরার একটি বেসরকারি হাসপাতালের আয়ার কাজ করতেন। দুঃস্থ নারীর চিকিৎসা করাতে এসে মাজেদার সঙ্গে পরিচয় হয় রবার্টের। তারপর তাদের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয়। ২০১৪ সালের ১ এপ্রিল খ্রিষ্টধর্মমতে রাজধানী বাড্ডার একটি চার্চে তারা বিয়ে করেন।

বিজ্ঞাপন

এরপর মাজেদা খাতুন তার আগের সংসারের সন্তানদের সঙ্গে রবার্টকে নিয়ে দক্ষিণখানের একটি বাসায় থাকতেন। ২০১৮ সালের ১৫ মে রবার্ট হৃদরোগে আক্রান্ত হলে দক্ষিণখানের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১০ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বার্কার।

এর আগে স্বামীর লাশ সৎকার করতে না পারার বিষয়ে মাজেদা বেগম গণমাধ্যমকে বলেন, বিদেশি নাগরিক হওয়ায় তার লাশ এই দেশে সৎকার করা যাচ্ছিল না। এ জন্য দূতাবাসের ছাড়পত্র প্রয়োজন, যেটা পাওয়া যাচ্ছিল না। তিনি অনেকবার দূতাবাসে গিয়ে সব ঘটনা বলেছেন। তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ইউজে/একেএম

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন