বিজ্ঞাপন

বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবির ২ বছর: চলতি বছরে রায়ের প্রত্যাশা

June 29, 2022 | 11:39 am

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ২০২০ সালে ২৯ জুন সদরঘাটের শ্যামবাজার এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীতে অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে লঞ্চ মর্নিং বার্ড ডুবে যায়। ওই ঘটনায় মর্নিং বার্ডের ৩৪ যাত্রী মারা যান। এ ঘটনায় ময়ূর-২ লঞ্চের মালিকসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা করে নৌ-পুলিশ। মামলা দায়েরের ২ বছরেও বিচার শেষ হয়নি। তবে রাষ্ট্রপক্ষ আশাবাদী সাক্ষীরা ঠিকমত সাক্ষ্য দিতে আসলে, এ বছরই মামলার বিচার সম্পন্ন হবে।

বিজ্ঞাপন

বর্তমানে মামলাটি ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ এ এইচ এম হাবিবুর রহমান ভূঁইয়ার আদালতে বিচারাধীন। সর্বশেষ গত ১২ জুন মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ধার্য ছিল। ওই দিন তিনজন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন। আগামী ৩ জুলাই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।

মামলা সম্পর্কে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বিমল সমাদ্দার জানান, মামলাটি নিয়ে আমরা খুবই সিরিয়াস। মামলাটি যেন দ্রুত শেষ করা যায় রাষ্ট্রপক্ষ আমরা সেই চেষ্টাটাই করছি। ইতোমধ্যে ৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। সাক্ষ্যে একটা বিষয় মোটামুটি উঠে, এসেছে ময়ূর-২ লঞ্চটি দ্রুতগতিতে ঘাটে যাওয়ার সময় মর্নি বার্ডকে ইচ্ছাকৃতভাবে ধাক্কা দিছে। এ কারণে এতগুলো প্রাণ গেছে।

তিনি আরও বলেন, সাক্ষী আসলে আমরা সাক্ষ্য নিচ্ছি। সাক্ষীরা এভাবে আসলে এ বছরই মামলার বিচার শেষ হবে বলে আশা করছি। ভূক্তভোগী পরিবারগুলো যেন ন্যায় পায়, সে লক্ষ্যে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে কাজ করে যাচ্ছি।

বিজ্ঞাপন

এদিকে ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক মোসাদ্দেক হানিফ ছোয়াদের আইনজীবী সুলতান নাসের জানান, মোসাদ্দেক হানিফ তো লঞ্চের মালিক। উনার টাকা আছে, ব্যবসা করছে। যাত্রীদের সেবা করে। মালিক তো আর ঘটনার সঙ্গে জড়িত না। মালিকের অপরাধ, উনি লঞ্চের মালিক। উনার সনদ আছে, তারপরও মামলায় জড়িয়ে দিয়েছে। ট্রায়াল ফেস করছি। আশা করি সাক্ষ্য-প্রমাণের মাধ্যমে তাকে নির্দোষ প্রমাণ করতে সক্ষম হবো।

২০২০ সালের ২৯ জুন মুন্সীগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা মর্নিং বার্ড নামের একটি লঞ্চ সদরঘাটে পৌঁছানোর আগে চাঁদপুরগামী ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় ডুবে যায়। দুর্ঘটনায় মর্নিং বার্ডের ৩৪ যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ঘটনার পরের দিন ৩০ জুন রাতে নৌ-পুলিশের সদরঘাট থানার এসআই মোহাম্মদ শামসুল বাদী হয়ে অবহেলাজনিত হত্যার অভিযোগ এনে ময়ূর-২ লঞ্চের মালিকসহ সাতজনের বিরুদ্ধে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে গত বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি সদরঘাট নৌ-থানা পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর শহিদুল আলম ১১ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। গত ১৮ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। এখন পর্যন্ত ৫১ জন সাক্ষীর মধ্যে ৮ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

আসামিরা হলেন- ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক মোসাদ্দেক হানিফ ছোয়াদ, মাস্টার আবুল বাশার মোল্লা, সহকারী মাস্টার জাকির হোসেন, চালক শিপন হাওলাদার, শাকিল হোসেন, সুকানি নাসির হোসেন মৃধা, গিজার হৃদয় হাওলাদার, সুপারভাইজার আব্দুস সালাম, সেলিম হোসেন হিরা, আবু সাঈদ ও দেলোয়ার হোসেন সরকার।

আসামিদের মধ্যে আবুল বাশার, নাসির হোসেন, শাকিল হোসেন, জাকির হোসেন ও শিপন হাওলাদার কারাগারে আছেন। অপর সাত আসামি জামিনে আছেন।

সারাবাংলা/এআই/এএম

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন