শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

সাতক্ষীরা: জেলার কলারোয়া উপজেলায় তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার অস্ত্র আইনের মামলায় প্রথম সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফিরোজ আহমেদ স্বপন সাক্ষ্য দেন।

বুধবার (২৯ জুন) অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং স্পেশাল ট্রাইবুনাল-৩ এর বিচারক বিশ্বনাথ মণ্ডলের আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। এ সময় মামলার ৪৯ জন আসামির মধ্যে তালা-কলারোয়ার বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৪০ জন আসামি উপস্থিতি ছিলেন।

বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনির জানান, অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় আজ প্রথম সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হলো। আগামী ১৪ জুলাই সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে।

ঘটনার বিররণে জানা যায়, ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সকাল ১০টায় তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নের হিজলদি গ্রামের এক মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষিতা স্ত্রীকে দেখতে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে আসেন। সেখান থেকে যশোরে ফিরে যাওয়ার পথে সকাল ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে কলারোয়া উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে একটি যাত্রীবাহী বাস (সাতক্ষীরা-জ-০৪-০০২৯) রাস্তার ওপরে আড় করে দিয়ে তার গাড়িবহরে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। তৎকালীন স্থানীয় সংসদ সদস্য হাবিবসহ বিএনপি দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ ওঠে।

ওই হামলায় তৎকালীন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রকৌশলী শেখ মুজিবুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মতিন, জোবায়দুল হক রাসেল, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী ফাতেমা জাহান সাথী ও শহিদুল হক জীবনসহ অনেকেই আহত হয়েছিলেন।

ওই ঘটনায় করা হামলা মামলায় ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তালা-কলারোয়ার বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জন নেতা-কর্মী চার থেকে ১০ বছর মেয়াদে সাজা প্রদান করেন সাতক্ষীরার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবির। এরপর গত ১৬ জুন অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনের অপর দুটি মামলায় চার্জ গঠন করা হয়।

সারাবাংলা/এনএস