July 10, 2022 | 6:15 pm
আহমেদ জামান শিমুল
ইদে এর আগেও আমার ছবি মুক্তি পেয়েছিল। তবে ইদে ছবি মুক্তি পাওয়া অন্য সময়ের চেয়ে একটু বেশি নার্ভাসের। আশা করছি দর্শকরা ভালোবাসা দিয়ে আমার সে নার্ভাসনেস কাটিয়ে দিবেন। তাদের প্রতি আমার পূর্ণ বিশ্বাস রয়েছে।
অনন্য মামুন ভাইয়ের সঙ্গে এর আগে আমি শিশুশিল্পী হিসেবে কাজ করেছিলাম। তখন থেকে তার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক। উনি একদিন আমাকে ফোন দিয়ে বললেন, অফিসে আসো। যাওয়ার পর বললেন, আমি তোমাকে নিয়ে দুটো ছবির গল্প চিন্তা করেছি। তুমি গল্প শুনো, তোমার যেটা পছন্দ হবে সেটা আগে নির্মাণ করবো। ওনার অফিসে বসে দুটো গল্পই শুনলাম। দুটোই বেশ সুন্দর। তবে ‘সাইকো’রটা বেশি ভালো লাগলো। এভাবেই আসলেই সম্পৃকতা। তাছাড়া রোশানকেও কাস্ট করেছিলেন তারা। ও তখনও ভালো কাজ করেছিলো, এখনও করছে। সবমিলিয়ে আমার কাছে মনে হয়েছে ‘সাইকো’ একটা ধামাকা প্যাকেজ হবে।
আগে বলে নিই, অনেকে বলছে এ ছবিতে আমি পাইলটের চরিত্র করছি- যা একদমই না। এ ছবিতে আমার চরিত্রের নাম ‘জাহান’। যেটা আমার জন্য লাকি একটা নাম। আমার প্রথম ছবি ‘নূর জাহান’-এও আমার নাম জাহান ছিল। এতটুকুই বলতে পারবো। বাকিটুকু জানতে দর্শকদের সিনেমা হলে আসতে হবে।
সবমিলিয়ে বলবো আমার চরিত্রটি। চঞ্চল, শান্ত সবকিছু মিশ্রণ বলা যায় জাহানকে।
আমরা ছবির ‘তোর জন্য কত মায়ারে’ গানটির শুটিং করেছি নেপালে। সেখানে ভয়াবহ ঠাণ্ডা ছিল ওই সময়ে। তাপমাত্রা মাইনাস ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। এমন অবস্থা ছিল চায়ের কাপে চা মুহুর্তেই বরফ হয়ে যাচ্ছিল। যে হিটার আমরা নিয়ে গিয়েছিলাম, ওটাও কাজ করছিলো না। ৫ থেকে ৬ দিন গোসল না করে থাকতে হয়েছিল। ঠিকঠাক মত শট দেওয়া যাচ্ছিল না। তাছাড়া আমি তো স্লিভলেস একটা ড্রেস পরেছিলাম, হাত খোলা, পিঠ খোলা। যার কারণে পুরো শরীর জমে হিম হয়ে যাচ্ছিল। অন্যদিকে রোশান তার ড্রেসের কারণে কিছুটা আরামে ছিল। আমার তো এমন অবস্থা হয়েছিল ঠাণ্ডায় পা শক্ত হয়ে গিয়েছিল, হাঁটতে পারছিলাম। এতকিছুর মাঝেও শট দিয়েছিলাম। কারণ গানটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছিল। তবে ঠাণ্ডার কারণে কোন রকমে কাজটা শেষ করে এসেছিলাম।
তবে একজন শিল্পী হিসেবে আমি সন্তুষ্ট। ডাবিংয়ে যখন ছবিটা দেখেছিলাম তখন মনে হয়েছে সব কষ্ট স্বার্থক।
একজন অভিনয়শিল্পী অভিনয় শেখার আগ্রহ থাকলে ও অনেক দূর যেতে পারে। রোশানের মধ্যে ওই ব্যাপারটা আছে। শিখতে পছন্দ করে। কোথায় কখন কী করতে হবে ও জানে। সে খুবই হেল্পফুল। সবমিলিয়ে একজন ভালো মানুষ।
আর খুঁনসুটির ব্যাপার যেটা, আমার সঙ্গে আমার সকল সহশিল্পীরই বেশ ভালো সম্পর্ক। বেশ দুষ্টামি করি আমাদের সঙ্গে। তবে এখানে আমি রোশানের পিছনে লাগি নাই, সেই আমার পিছনে লেগেছিল। ও খুবই চঞ্চল ও দুষ্ট প্রকৃতির ছেলে। দুজন মিলেমিশে কাজ করেছিলাম।
শাকিব খানের সঙ্গে এটি আমার দ্বিতীয় কাজ। এর আগে আমরা এস এ হক অলিক ভাইয়ের পরিচালনায় ‘গলুই’ করেছিলাম। ছবিটি গেল ইদে মুক্তি পেয়েছে। দর্শকরা আমাদের জুটি বেশ পছন্দও করেছেন। আর ‘মায়া’ তো সরকারি অনুদান পেল। ইতোমধ্যে ঘোষণা হয়েছে আমি ছবিটির নায়িকা। কিন্তু শাকিব খান দেশের বাইরে আছেন তাই কিছু বলতে চাইছিও না। সে দেশে আসুক, তখন ছবিতে আমার চরিত্র বা অন্যান্য বিষয় নিয়ে কথা বলবো। তবে এতটুকু বলতে পারি, মায়া সিনেমার গল্প যতটুকু আমি শুনেছি অসাধারণ একটা গল্প। এরকম বাংলাদেশে হয়েছে কিনা আমার জানা নেই। সবাই জানেন এর বাজেট চার কোটি টাকা। প্রচুর ভিএফএক্সের কাজ রয়েছে ছবিতে।
এটা তো এখন বলে দিলে হবে না। একটা পয়েন্ট আমি বলেছি, এ ছবিতে প্রচুর ভিএফএক্সের কাজ রয়েছে।
ওনার সঙ্গে তো আমার এর আগেও কাজ হয়েছে। দুইটা সিনেমা করেছিও— ‘নূর জাহান’, ‘প্রেম আমার’। তাই তার সঙ্গে আবার কাজ হতে পারে, এটা স্বাভাবিক ব্যাপার। এখন এটা নিয়ে কিছু বলতে পারবো না।
সারাবাংলা/এজেডএস/এএসজি