বিজ্ঞাপন

নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি খেলাফত মজলিসের

July 18, 2022 | 5:31 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানিয়েছে খেলাফত মজলিস।

বিজ্ঞাপন

দলটির মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনের ওপর জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ একটি সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করতে হবে। এর জন্য প্রয়োজনীয় সংলাপের সূচনা করা জরুরি। আগামী নির্বাচনে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতের লক্ষ্যে সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচন করতে হবে। পাশাপাশি দলীয় সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীদের পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিধান প্রয়োজনে সংবিধানের সংশোধনী আনতে হবে।

সোমবার (১৮ জুলাই) নির্বাচন কমিশনের সংলাপে অংশ নিয়ে খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের এসব কথা বলেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে সংলাপে ইসি সচিব হুমায়ুন কবির খোন্দকার সভাটি পরিচালনা করেন।

আরও পড়ুন- বিএনপি না এলেও নির্বাচন করব: সিইসি

বিজ্ঞাপন

সংলাপে ইসি কমিশনার মো. আলমগীর, রাশেদা সুলতানা, মো. আনিছুর রহমান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান উপস্থিত ছিলেন। খেলাফত মজলিসের প্রতিনিধি দলে ছিলেন দলের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুর কাদের, নায়েবে আমির মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, মাওলানা আমদ আলী কাসেমীসহ ১০ জন।

নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহার প্রসঙ্গে খেলাফত মজলিসের মহাসচিব বলেন, ইভিএম এখন পর্যন্ত জনগণ ও রাজনীতিকদের আস্থা অর্জন করতে পারেনি। তাই আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম পরিহার করা উচিত। তবে ভোটার ভেরিফাইয়েবল পেপার ট্রেলার সংযুক্ত করে স্থানীয় নির্বাচনে পরীক্ষা করা যেতে পারে। মেশিন যেহেতু মানুষ দ্বারা পরিচালিত হয়, তাই সেগুলো ব্যবহার করার আগে রাজনৈতিক সমঝোতা জরুরি।

বিজ্ঞাপন

ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচনের ফল ঘোষণা ও নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যাবতীয় কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সবকিছু নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখতে হবে। পাশাপাশি জনপ্রশাসন, স্বরাষ্ট্র, তথ্য ও আইন মন্ত্রণালয়সহ নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিশেষত নির্বাচনি কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্বে থাকা মাঠ প্রশাসনকে নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকতে হবে। নির্বাচন কমিশন চাইলে তাদের যে কাউকে বদলি করতে পারবে।

নির্বাচন কমিশনের কাজের ক্ষেত্রে সরকার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোনোভাবেই হস্তক্ষেপ করতে পারবে না— এমন নিশ্চয়তার দাবি জানান খেলাফত মজলিসের মহাসচিব। বলেন, নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব জনবলের মাধ্যমেই নির্বাচন করার পদক্ষেপ নিতে হবে। নির্বাচনকে অর্থ ও পেশীশক্তির প্রভাবমুক্ত রাখতে হবে। সবার জন্যে সমান সুযোগ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এর জন্য প্রয়োজনীয় নির্বাচনি আইন প্রণয়ন ও পদক্ষেপ নিতে হবে। ভোটারদের নিরাপত্তাবোধ নিশ্চিত করা ও যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিতে হবে।

তিনি বলেন, সব দলের প্রার্থীর ব্যক্তিগত প্রচারণা ছাড়া অন্যান্য আনুষ্ঠানিক নির্বাচনি প্রচারণার দায়িত্ব ও ব্যয় নির্বাচন কমিশন বহন করবে— এমন ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। ব্যয়ের ক্ষেত্রে কোনো গুরুতর অনিয়মের প্রমাণ মিললে প্রার্থিতা বাতিল, এমনকি নির্বাচিত হলে পদ বাতিল ঘোষণার ব্যবস্থা থাকতে হবে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জিএস/টিআর

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন