July 25, 2022 | 5:57 pm
ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
বরিশাল: সদ্য ঘোষিত বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটি প্রত্যাখ্যান করে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নতুন কমিটি ঘোষণার দাবিতে বরিশালে বিক্ষোভ মিছিল এবং সমাবেশ করেছে পদবঞ্চিতরা।
সোমবার (২৫ জুলাই) বেলা ১২টায় নগরীর সদর রোডের দলীয় কার্যালয়ের সামনে পদবঞ্চিতরা সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।
এ সময় বক্তব্য রাখেন বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেওয়া রেজানু রহমান নিয়ন, মেহেদী হাসান ও আব্দুল আলীমসহ অন্যরা।
পদবঞ্চিত ছাত্রলীগ কর্মী রেজাউর রহমান নিয়ন বলেন, ‘একজন শ্রমিক নেতাকে কী করে ছাত্রলীগের দায়িত্ব দেওয়া হয়? মহানগর ছাত্রলীগে যাকে আহ্বায়ক করা হয়েছে সেই মান্না দুই সন্তানের জনক। তার বড় সন্তানের বয়স প্রায় ১০ বছর। যুগ্ম আহ্বায়ক মাইনুল ইসলাম ও আরিফুর রহমান শাকিলও বিবাহিত। বরিশালে জমকালো আয়োজনে তাদের বিয়ে হয়েছে। ছাত্রত্ব ও বয়স নেই তিনজনেরই। এ ছাড়াও যাদের সদস্য করা হয়েছে তাদের মধ্যে অনেকের ব্যাকগ্রাউন্ড বিএনপি।’
বক্তারা বলেন, ‘নবগঠিত মহানগর কমিটির আহবায়ক মান্নাসহ বেশিরভাগ পদধারী নেতা বিবাহিত এবং অছাত্র। তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ এবং মাদকে সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে। বেশিরভাগের ছাত্রলীগের রাজনীতি করার বয়সসীমাও অতিবাহিত হয়েছে।’
সমাবেশ শেষে একই দাবিতে দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বান্দ রোডের ওয়াপদা গেটে গিয়ে শেষ হয়।
বরিশাল ছাত্রলীগের একটি সূত্র জানায়, বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রইজ আহম্মেদ মান্না চলতি মাসে গঠিত বরিশাল বিভাগীয় আঞ্চলিক সড়ক পরিবহন মালিক ও শ্রমিক ঐক্য ফেডারেশনের আইন বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছিলেন। এছাড়া তিনি বরিশাল বিভাগীয় আঞ্চলিক সড়ক পরিবহন মালিক ফেডারেশনের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পদেও আছেন।
নতুন কমিটির আহ্বায়ক রইজ আহমেদ মান্না বলেন, ‘ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের জন্য একটি সম্মেলন জরুরি হয়ে পড়েছে। তাই বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ যাদের যোগ্য মনে করেছেন তাদের জন্য সুপারিশ করেছেন। এই কমিটিকে এক প্রকার সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি বলা যায়। দীর্ঘদিন ছাত্রলীগের কমিটি না থাকায় নেতাকর্মীরা পরিচয়হীন ছিল। তিন মাস মেয়াদী এই কমিটির মধ্য দিয়ে হলেও কিছু নেতাকর্মী তাদের পরিচয় পেয়েছে।’
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক ইন্দ্রনীল দেব শর্মা রনি বলেন, ‘যদি কোনো ব্যক্তি শ্রমিক সংগঠনের পদধারী নেতা হয়ে থাকেন তাহলে তার ছাত্রলীগের কমিটিতে আসার সুযোগ নেই। বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের কমিটির অনুমোদন আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের মতামত নিয়েই করা হয়েছে। আমরাও যাচাই-বাছাই করেছি। আমাদের যাচাই-বাছাইতে ত্রুটি থাকতে পারে। যে কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, সেই কমিটি নিয়ে আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ এলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, গত ২৩ জুলাই রইজ আহমেদ মান্নাকে আহ্বায়ক এবং মো. মইনুল ইসলাম ও আরিফুর রহমান সাকিলকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের ৩২ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় কমিটি।
সারাবাংলা/একে