বিজ্ঞাপন

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রনে অগ্রাধিকার দিতে হবে

July 28, 2022 | 2:48 pm

ড. আর এম দেবনাথ

কয়েকদিন আগের কথা। মতিঝিলের এক বেসরকারি অফিসে একটা কাজে যাই। উদ্দেশ্য, কাজ হাসিল করা এবং কয়েক বন্ধুর সঙ্গে আড্ডা মারা। বলা বাহুল্য, বহুদিন পর সেখানে গিয়েছিলাম। আড্ডা কী আর হবে-সবাই তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ, ভর্তুকি ইত্যাদি সম্পর্কেই উৎসাহ দেখায়।

বিজ্ঞাপন

অনেক মতের কথা পেলাম। কারও মধ্যে কোনো স্বস্তি দেখিনি। সবাই নানা আশঙ্কায় ভুগছে। ঘর-সংসার কীভাবে চলবে তার ওপর আলোচনা। হতাশার সুরই বেশি। যুদ্ধ কবে থামবে, কবে মূল্যস্ফীতি থেকে রেহাই পাওয়া যাবে। এটা বেনামে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ কিনা, সে প্রশ্নও আলোচনায় আসে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে আমি শুধু শ্রোতা। কারণ, বলার কিছু পাচ্ছিলাম না। পরিস্থিতি সম্যক কেউ বুঝতেও পারছে না। আড্ডায় চা-কফি খাওয়া হলো দুই-তিনবার।

দুপুরবেলা, দুপুরের খাবারের সময়। আড্ডা ভাঙল। বন্ধুর ঘর থেকে বেরিয়ে লিফটের দিকে যাচ্ছি। পেছনে তাকিয়ে দেখি ৪-৫ জন কর্মচারী। তারা সবাই কোম্পানির কর্মচারী। কোম্পানিটি খুবই ছোট। ৩০-৪০ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী। পেছন পেছন তারা বলতে লাগলেন, স্যার বাঁচার ব্যবস্থা কী? জিনিসপত্রের দামের হিসাব দিলেন।

ঘরভাড়া, বিদ্যুৎ, যাতায়াত খরচ, চাল-ডাল, সয়াবিন তেল, সবজি, মাছ-মাংসের দামের কথা উল্লেখ করে সবাই একটা অনুরোধ করলেন। তারা আমার বন্ধুকে তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে বললেন-যাতে তাদের বেতন বাড়ে সেই অনুরোধ। আমাকে তাদের কথা বন্ধুকে বলতে বললেন। আমি অসহায়ের মতো বললাম, এ ব্যাপারে আমি কীভাবে জড়িত হব? তবু বলতে হলো-‘দেখব’।

বিজ্ঞাপন

এ কথা বলে ভাবতে লাগলাম। দেখলাম আশ্চর্য মিল সমস্যার মধ্যে। বন্ধুরা যে কথা আলোচনা করেছে, কোম্পানির কর্মচারী-কর্মকর্তারাও একই কথা বলছেন। কোম্পানির আয় আগের মতো নেই। করোনার পর একটু একটু বাড়ছিল, কিন্তু যুদ্ধ এসে তা থামিয়ে দিয়েছে। বন্ধু-মালিক কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দিতেই গলদঘর্ম হচ্ছেন, তার ওপর কর্মচারীদের দাবি বেতন বৃদ্ধির। এ সমস্যার সমাধান কোথায়? মূল্যস্ফীতি থেকে বাঁচার পথ কী?

কাগজে দেখলাম, বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার এ সম্পর্কে কিছু আশার কথা বলেছেন। খবরের কাগজের রিপোর্ট থেকে বুঝতে পারলাম গভর্নর সাহেবের কর্তব্যের তালিকায় রয়েছে সাতটি কাজ। এর মধ্যে প্রথমেই আছে মূল্যস্ফীতি রোধ। তিনি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের ওপর সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেবেন।

দ্বিতীয়, তৃতীয় ও অন্যান্য লক্ষ্য হচ্ছে-বৈদেশিক মুদ্রা বাজারের অস্থিতিশীলতা দূর করা, বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের পরিমাণ বৃদ্ধি করা, স্থিতিশীল আর্থিক খাত গড়ে তোলা, ব্যাংকগুলোতে সুশাসন ফিরিয়ে আনা, বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা এবং সরকারের লক্ষ্যমাত্রা মাফিক জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার অর্জনে সর্বাত্মক চেষ্টা করা। নতুন গভর্নর সাহেব বর্তমান কাজে নতুন হলেও সার্বিক ব্যবস্থাপনায় তার দক্ষতা আছে। তিনি অর্থ সচিব হিসাবে কাজ করেছেন, সরকারের সমস্যা সামলেছেন। অর্থ সচিব হিসাবে তিনি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বোর্ডেও ছিলেন। কাজেই এ মুহূর্তের সমস্যা সম্পর্কে তার ধারণা যথাযথ বলেই অনুমান করি।

বিজ্ঞাপন

দেখা যাচ্ছে, মূল্যস্ফীতি রোধে আমদানি ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অনেক পদক্ষেপ ইতোমধ্যেই গ্রহণ করেছে। তবে এ কথা বলা দরকার-কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পদক্ষেপে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রিত হবে, তা মনে করার কোনো কারণ নেই। বস্তুত মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আইনি দায়িত্ব। এ দায়িত্ব কেন্দ্রীয় ব্যাংক অতীতে কতটুকু সফলতার সঙ্গে পালন করেছে, তা বিতর্কিত বিষয়। বস্তুত মূল্যস্ফীতি বাজার পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একার প্রচেষ্টা যথেষ্ট নয়।

এর জন্য দরকার মুদ্রানীতি, রাজস্বনীতি ও বাণিজ্যনীতির সমন্বয়। এই সমন্বয় সাধনের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকে একটি কাঠামো আছে। এর নাম ‘কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিল’, যার প্রধান হলেন অর্থমন্ত্রী স্বয়ং। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে এ কাউন্সিলে। এর সভা নিয়মিত হওয়ার কথা। আমি যতটুকু জানি, এ সম্পর্কে এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়ে গভর্নরকে সংসদে জবাবদিহি করতে হয়। আমার ধারণা, এই সমন্বয়ের কাজটা জরুরি ভিত্তিতে করা দরকার।

আমাদের বর্তমান মূল্যস্ফীতি আমদানির মাধ্যমে সৃষ্টি। আমরা আমদানিনির্ভর দেশ। চাল, ডাল, সয়াবিন তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি, মধ্যবর্তী পণ্য, কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি সবই আমরা আমদানি করি। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ফলে এসবের আন্তর্জাতিক বাজার অস্থিতিশীল। প্রতিটি পণ্যের দর বেড়েছে। বিশেষ করে অপরিশোধিত তেলই আমাদের জন্য বেশি সমস্যা সৃষ্টি করেছে। এ কারণে ভর্তুকি বাড়তে পারে বিধায় সরকার বিদ্যুতের সরবরাহ হ্রাস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য বেশকিছু পদক্ষেপ গৃহীত হয়েছে। তবে সামগ্রিকভাবে সমন্বয় দরকার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একার পক্ষে শুধু মুদ্রানীতি দিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। বলাই বাহুল্য, বাজারে পণ্যের যেহেতু টানাটানি, সেহেতু বাজারে টাকার সরবরাহও কম হওয়া দরকার। এ কারণে ‘কস্ট অব ক্রেডিট’ যাতে বেশি হয় তার ব্যবস্থা করা দরকার, যাতে ঋণ ব্যয়বহুল হয়। এক্ষেত্রে শুধু ঋণপত্রের মার্জিন বাড়িয়ে অথবা ঋণপত্র পরীক্ষা করে বড় ফল পাওয়া যাবে না।

বিজ্ঞাপন

দ্বিতীয় যে লক্ষ্য স্থির করেছেন গভর্নর সাহেব তা হচ্ছে, বৈদেশিক মুদ্রার বাজার স্থিতিশীল করা এবং রিজার্ভের পরিমাণ বাড়ানো। আমদানির পরিমাণ মারাত্মকভাবে বেড়েছে। সেই পরিমাণে রপ্তানি বাড়েনি। অপরদিকে যে রেমিট্যান্স আমদানি ও রপ্তানির মধ্যে সামঞ্জস্য বিধান করত, তাতে দেখা দিয়েছে শ্লথগতি। রেমিট্যান্স ২০২১-২২ অর্থবছরে ১৫ শতাংশের মতো হ্রাস পেয়েছে। ফলে বাজারে ডলারের টানাটানি।

কিছুদিন আগে ৮৫-৮৬ টাকায় বিক্রি হওয়া ডলার এখন ১০৫ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে ডলার পাওয়া যাচ্ছে না। বাংলাদেশ ব্যাংক বাজারে ডলার ছাড়ছে স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য। তাতেও কাজ হচ্ছে না। বিদেশি রপ্তানিকারকরা ইতোমধ্যেই ‘অ্যাড কনফারমেশন’ চাইছে, যার অর্থ তারা শুধু আমাদের ব্যাংকগুলোর ঋণপত্রেই আশ্বস্ত হতে পারছে না। এতে সমস্যা আরও বেড়েছে।

এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের বাজার ঠিক রাখা এবং রিজার্ভ স্থিতিশীল রাখার জন্য বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। রপ্তানিকারকদের ‘রিটেশন কোটা’ হ্রাস করা হয়েছে। এতে কিছু ডলার রিজার্ভে যোগ হবে। ব্যাংকের ডলার ধরে রাখার ক্ষমতা (ওপেন পজিশন) হ্রাস করা হয়েছে। বড় বড় ঋণপত্র পরীক্ষা করে দেখছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, যাতে ওভার ইনভয়েসিং না হয়। আবার রেমিট্যান্স বাড়ানোর জন্য সরকার রেমিট্যান্সের ওপর প্রণোদনা দিচ্ছে। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে, প্রণোদনা দেওয়ার পরও খোলাবাজারে ডলারের দাম অনেক বেশি। প্রণোদনায় কাজ হচ্ছে না।

হুন্ডিতে ডলার প্রেরণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে অনেকের ধারণা, প্রণোদনা বন্ধ করা উচিত এবং খোলাবাজারের দরে রেমিট্যান্স প্রাপকদের টাকা দেওয়া উচিত। একইভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ‘৯-৬’ সুদনীতিতেও পরিবর্তন আনা দরকার। ‘৯-৬’ নীতি বাজার অর্থনীতির সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। আমানত ও ঋণের ওপর সুদের হার বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া উচিত। সুদের হারের ওপর নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা কোনো ফল দিচ্ছে বলে অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন না।

এদিকে দেখা যাচ্ছে-রপ্তানি হচ্ছে, কিন্তু রপ্তানির সব টাকা দেশে সময়মতো আসছে না। রপ্তানির টাকা যাতে যথাশিগ্গির দেশে আসে, সেদিকে নজর রাখা উচিত। আমদানি খরচ কমানোর জন্য বিলাসদ্রব্য আমদানিতে ঋণপত্রের ওপর মার্জিন শতভাগ করা হয়েছে। অপ্রয়োজনীয় আমদানি বন্ধে মার্জিন বৃদ্ধি করা হয়েছে। এতে কিছু ফল আসতে পারে। তবে মূল জায়গা ‘ওভার ইনভয়েসিং’ (অতিমূল্যায়ন)। এটি নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি কাজ করতে পারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ৫০-৬০টি ব্যাংকের প্রধান শাখাগুলোর কঠোর অডিট চালু করা যেতে পারে। বড় আমদানিকারকদের আমদানি পোর্টফোলিও ‘চেক’ করে দেখা দরকার।

আরেকটি লক্ষ্য গভর্নর সাহেব স্থির করেছেন, যা হচ্ছে আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা। তিনি বলেছেন, কয়েকটি ব্যাংক ছাড়া বাকি সব ব্যাংক ঠিকই আছে। তবে এক্ষেত্রে বলা দরকার, ব্যাংকের অস্থিতিশীলতার জন্য নিয়ম-কানুন ঘন ঘন পরিবর্তন কম দায়ী নয়। শ্রেণিবিন্যাসকরণ নীতি, সংরক্ষণ নীতি, ডাউন পেমেন্ট নীতি, ঋণ পরিশোধের সময়সীমা দীর্ঘায়িত করা, সুদ হ্রাস, সুদ ভর্তুকি, সুদ মওকুফ ইত্যাদি ক্ষেত্রে ঘন ঘন পরিবর্তন হচ্ছে। পরিবর্তন হচ্ছে হরেদরে। আর্থিক সুবিধা দেওয়া হচ্ছে বড় গ্রাহকদের, অনেক ক্ষেত্রে খারাপ গ্রাহকদেরও।

ছোট উদ্যোক্তারা এসব থেকে বঞ্চিত। আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা আনতে হলে নিয়মনীতির ধারাবাহিকতা দরকার। ব্যবসায়ীরা কিছু চাওয়া মাত্র সঙ্গে সঙ্গে তা দিয়ে দিলে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে না। জানি এখন দুঃসময়। কিন্তু দুঃসময়ে সবচেয়ে বেশি সাবধান থাকতে হয়। এটা হচ্ছে না বলে মনে হয়। সবচেয়ে বড় কথা, এ সমস্যাটি দীর্ঘদিনের। কত আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, কিন্তু কিছুতেই কিছু হয়নি। সংজ্ঞা পরিবর্তন করে শ্রেণিবিন্যাসিত ঋণের পরিমাণ হ্রাস করার নীতি আত্মপ্রতারণার শামিল। প্রকৃত অর্থে খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমাতে হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে আরও কঠোর হতে হবে। কৃষক তার ঋণের টাকা না দিলে যেমন ‘সার্টিফিকেট মামলা’ করে টাকা দ্রুত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়, তেমন একটা কঠোর ব্যবস্থা বড়দের ক্ষেত্রেও দরকার।

বলাই বাহুল্য, সুশাসনের প্রশ্নটি এসব সমস্যার সঙ্গেই জড়িত। সুশাসনের অন্যতম বড় বাধা কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের মধ্যকার সমন্বয়হীনতা। অনেক ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ক্ষমতা অর্থ মন্ত্রণালয় কেড়ে নিয়েছে, যা হওয়া মোটেই উচিত নয়। এটা ঘটছে বলেই সরকারি ব্যাংকে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে না। তারা উভয়ের নিয়ন্ত্রণের শিকার। সরকারি ব্যাংকগুলো পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি। অন্যান্য পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি যেভাবে চলে, পরিচালিত হয়, সরকারি ব্যাংকগুলোও সেভাবে পরিচালিত হওয়া দরকার। দ্বৈত শাসনের অবসান দরকার।

আরেকটি বড় কাজ হলো বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়ানো। বেসরকারি বিনিয়োগ এক জায়গায় স্থবির হয়ে আছে। তাদের অনেক সুবিধা দেওয়া হচ্ছে; কিন্তু দেখা যাচ্ছে বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়ছে না। বরং অনেক ক্ষেত্রে টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে। এটা এখন সরকার তার ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটের মাধ্যমে স্বীকার করে নিয়েছে। কেন ব্যবসায়ীরা এখানে বিনিয়োগ করতে চায় না, কেন ধনীরা দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছে, কেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পরিবার দেশ ছাড়ছে-এসব পরীক্ষা করে দেখা দরকার।

পরিশেষে জিডিপি প্রবৃদ্ধির কথা। প্রবৃদ্ধিই সবকিছু নয়। প্রবৃদ্ধিটি হতে হবে ‘ইনক্লুসিভ’। এটা হচ্ছে না। উন্নয়নের ফল সবাই পাচ্ছে না। এটা দেখাও সরকারের দায়িত্ব।

লেখক: অর্থনীতি বিশ্লেষক; সাবেক শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

সারাবাংলা/এজেডএস

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন