বিজ্ঞাপন

বিএনপি নেতাদের হাতে হারিকেন ধরিয়ে দিতে বললেন প্রধানমন্ত্রী

August 1, 2022 | 1:39 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি নেতারা হাতে হারিকেন নিয়ে আন্দোলন করছে। তাদের হাতে হারিকেন ধরায় দিতে হবে। তাদের সবার হাতে হারিকেন ধরায় দেন। আর দেশের মানুষকে আমরা নিরাপত্তা দেবো। দেশের মানুষ যাতে ভালো থাকে, আমরা সেই ব্যবস্থা নেব।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১ আগস্ট) দুপুরে শোকাবহ আগস্টের কর্মসূচি উপলক্ষে বাংলাদেশ কৃষক লীগ আয়োজিত রক্তদান কর্মসূচি উদ্বোধনের পূর্বে দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়‌ালি যুক্ত হয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬-২০০১ এটাতো একটা স্বর্ণ যুগ ছিল মানুষের জন্য। ২০০১ সালে আমাদের আসতে দেয়নি ক্ষমতায়। সেটাও একটা চক্রান্ত ছিল। আমরা গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দেইনি বলে আসতে পারিনি। এটা হল বাস্তবতা।

তিনি বলেন, ২০০১-২০০৬ মেয়াদে বিদ্যুৎ ৪৩০০ মেগাওয়াট থেকে ৩২০০ মেগাওয়াটে নেমে এসেছিল। আমরা ৪০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতি নিয়ে ৯৬ সালে সরকার গঠন করি। ২০০১ সালে যখন ক্ষমতা থেকে বিদায় নেই, তখন ২৬ লাখ মেট্রিক টন উদ্বৃত্ত রেখে এসেছিলাম। ২০০৯ সালে যখন সরকার গঠন করি, তখন দেখি আবারও ২১ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতি। অর্থাৎ দেশকে খাদ্য ঘাটতিতে রেখে মানুষকে ভিক্ষুক জাতি হিসেবে বিশ্বে পরিচয় করানো এবং ভিক্ষা চেয়ে নিয়ে আসা। এটাও একটা ব্যবসা। খাদ্য কিনবে ব্যবসা করবে এবং কমিশন খাবে, এটাই ছিল বিএনপির নীতি।

বিজ্ঞাপন

বিএনপি অস্ত্র চোরা কারবারির সঙ্গে জড়িত দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে এ সমস্ত কাজ করানো হতো। ‌১০ ট্রাক অস্ত্রের চালান ধরা পড়েছে। মাত্র একটা চালান ধরা পড়েছে। এ রকম কত চালান এদেশে আসছে গেছে। প্রত্যেকটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অস্ত্রের ঝনঝনানি। মেধাবী শিক্ষার্থীদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া তাদেরকে লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করা, শিক্ষার সম্পূর্ণ পরিবেশ ধ্বংস করা এটাই ছিল বিএনপির চরিত্র।

নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপির সমালোচনার জবাব দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২০০১ সালের ১ অক্টোবরে নির্বাচন। সে নির্বাচন কি নির্বাচন হয়েছিল? সেখানে কি কোনো মানুষ ভোট দিতে যেতে পেরেছে? সমস্ত বাংলাদেশে সেনাবাহিনী নিয়োগ করা হয়েছে।

বিএনপির সময়ে নির্বাচনের নানান অসঙ্গতি তুলে ধরে তিনি বলেন, এরা তো প্রকাশ্যে সিল মারতো। এটা রাতের ভোট না, একেকটা বাসে করে যাবে বিএনপির সন্ত্রাসীরা। এক একটা বুথে ঢুকবে সিল মারবে, বাক্স ভরবে চলে আসবে। সেটা না পারলে সোজা ঘোষণা। এসব প্রক্রিয়ায় মাগুরা নির্বাচন, মিরপুর নির্বাচন, ঢাকা ১০ এ ফালু যখন নির্বাচন করে এগুলো তো মানুষের চোখে দেখা।‌ তখন মানুষ তো ভোট দিতে পারেনি, ভোট দেওয়ার অধিকারী ছিল না বিএনপির আমলে। সামরিক শাসক অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে যে দল গঠন করেছিল ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে, তাদের কাছে এখন নানান রকম নীতির কথা শুনতে হয়। যারা এই বাংলাদেশটাকে বানিয়েছিল অস্ত্র চোরাকারবারির একটা জায়গা। সন্ত্রাসীর দেশ জঙ্গিবাদের দেশ, বাংলা ভাই সৃষ্টির দেশ। তারাই এখন নীতির কথা বলে।

বিজ্ঞাপন

সদ্য শেষ হওয়ার আদমশুমারি নিয়ে প্রশ্ন তোলায় তাদের কড়া জবাব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনসংখ্যা যখন সাড়ে ১৬ কোটির উপরে, সেটাও আবার কারো হিসাবে পছন্দ হচ্ছে না। তাদের জিজ্ঞেস করব হিসাবটা পছন্দ হয় না কেন? তাহলে নিজেরাই সন্তান জন্মাতে থাকুক বা জনসংখ্যা বাড়াতে থাকুক। যাদের পছন্দ না, তারা সেটা করুক আমরা খাবার দেবো কোনো আপত্তি নেই। আমরা চাই প্রত্যেকটা পরিবার যেন সুখী পরিবার হয়, সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে।

বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রান্তে কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতির সঞ্চালনায় শোক দিবসের আলোচনা ও রক্তদান কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ড. আব্দুর রাজ্জাক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম।

সারাবাংলা/এনআর/এএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন