বিজ্ঞাপন

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে নম্বর জালিয়াতির অভিযোগে হাইকোর্টের রুল

August 1, 2022 | 7:06 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ময়মনসিংহে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে মাস্টার্স পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফলে জারমিনা রহমান নামের এক শিক্ষার্থীর নম্বর ঘষামাজা (টেম্পারিং) করা এবং অনিয়মের ঘটনায় রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

বিজ্ঞাপন

চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা সচিব, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন, অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান এবং বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

সোমবার (১ আগস্ট) বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

রুলে বলা হয়েছে, গত ২৭ মার্চ প্রকাশিত অর্থনীতি বিভাগের ২০১৮ সালের মাস্টার্স পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা এবং পুনঃপরীক্ষণ/পুনঃমূল্যায়নপূর্বক ফলাফল প্রস্তুতের ব্যর্থতা কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং বিবাদীদের কেন ২০১৮ সনের মাস্টার্স পরীক্ষার ফলাফল পুনঃপরীক্ষণ/পুনঃমূল্যায়নের নির্দেশ প্রদান করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শিহাব উদ্দিন খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।

এর আগে গত ২৩ জুন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের উক্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী এবং ফলাফলে সংক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী জারমিনা রহমান এই রিট দায়ের করেন।

রিটে বলা হয়, ইচ্ছাকৃত ও উদ্দেশ্যমূলকভাবে নম্বর কম দেওয়া, বহিঃপরীক্ষক দ্বারা মুল্যায়ন ব্যাতিরেকে শুধুমাত্র অভ্যন্তরীণভাবে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ফল প্রস্তুত ও অনিয়ম, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও মাস্টার্স পরীক্ষার জন্য প্রণীত অর্ডিনেন্সের বিভিন্ন ধারা লঙ্ঘন করে নম্বর জালিয়াতি ও অনিয়ম করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

রিটকারী জারমিনা রহমান অনার্সে সর্বোচ্চ ৩.৮২ পেয়ে প্রথম হলেও মাস্টার্সে তাকে মাত্র ৩.৪৫ সিজিপিএ প্রদান করা হয়েছে। এতে করে পিটিশন দায়েরকারী ছাত্রী ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে আবেদন করার যোগ্যতা হারিয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এবং পরীক্ষা কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে এই নম্বর জালিয়াতি ও অনিয়মের অভিযোগ তোলা হয়েছে।

রিট আবেদনে আরও বলা হয়, এর আগে পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণার পর মাস্টার্সের শিক্ষার্থীরা পুনঃমূল্যায়ন চেয়ে অবস্থান কর্মসূচি ও আন্দোলন করে। এরপর প্রতিকার চেয়ে কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করে। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ওই শিক্ষার্থী হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/কেআইএফ/একে

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন