বিজ্ঞাপন

হুন্ডির মাধ্যমে আসা রেমিট্যান্স কালো টাকা: অর্থমন্ত্রী

August 3, 2022 | 3:45 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, অফিসিয়াল চ্যানেলে বিদেশ থেকে টাকা আসুক আমরা সবসময় সেটা প্রত্যাশা করি। কারণ এটার যে সুফল সেটি অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। হুন্ডির মাধ্যমে আসা টাকাকে অবৈধ বলব না, তবে সেটি কালো টাকা।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (৩ আগস্ট) দুপুরে ভার্চুয়ালি সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, যারা সেই হুন্ডির মাধ্যমে টাকা নিয়ে আসেন, তারা সবসময় বিবেকের কাছে দায়ী থাকবেন। তাদের আস্তে আস্তে অনেক টাকা হয়ে গেলে সেটি কিন্তু রেকর্ড করতে পারছেন না, কারণ হুন্ডির টাকা। ভবিষ্যতে কখনো ইনকাম ট্যাক্স বা রেগুলেটরি অথরিটি এ সম্পর্কে প্রশ্ন করলে জবাব দিতে পারবেন না।

তিনি বলেন, রেমিট্যান্স দেশের অন্যতম একটি খাত। আমাদের রফতানি বাণিজ্যের পরে রেমিট্যান্স অর্থনীতিকে এগিয়ে নিচ্ছে। দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি হিসাবে কাজ প্রবাসীদের পাঠানো এই রেমিট্যান্স।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী সবসময় আমাদেরকে প্রবাসীদের উৎসাহিত করতে বলেন। এগুলো তাদের টাকা, পরে তারা যেকোনো কাজে ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু হুন্ডির মাধ্যমে টাকা আনলে প্রশ্ন উঠবে তারা টাকা কোথায় পেল।

হুন্ডিতে টাকা পাঠানোর পরিমাণ বেড়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, এখনো হুন্ডি আছে। আমাদের কাছেও তথ্য আছে, এখনো হুন্ডির মাধ্যমে টাকা-পয়সা আসে। যেন কম আসে সেটি নিরুৎসাহিত করতে, আমরা তাদের সুফলটা বলছি।

হুন্ডিতে কী পরিমাণ টাকা আসে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমার এই মুহূর্তে কোনো ধারণা নেই। আমি আগে একটি স্টাডি করে দেখেছিলাম, প্রায় কাছাকাছি অফিসিয়াল চ্যানেলে এসেছে ৫১ শতাংশ। আর হুন্ডিতে এসেছে ৪৯ শতাংশ। সেজন্য আমি মনে করি, সেই ধারাবাহিকতা এখনো আছে। আমরা যদি অফিসিয়াল চ্যানেলে আনতে পারি কেন আসবে না। অফিসিয়াল চ্যানেলে আনলে তো লস হচ্ছে না। প্রবাসীদের শুধু প্রণোদনা নয় স্বীকৃতিও দেওয়া হচ্ছে। তাদের ভবিষ্যত প্রজন্মও কিন্তু এটি সুন্দরভাবে ভোগ করতে পারবে। এতে প্রশ্ন বা দায়বদ্ধতা থাকবে না।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জিএস/এএম

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন