বিজ্ঞাপন

চলন্ত বাসে ধর্ষণ ও ডাকাতি: রাজা মিয়া ৫ দিনের রিমান্ডে

August 4, 2022 | 10:18 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: কুষ্টিয়া থেকে ছেড়ে আসা ঈগল এক্সপ্রেসের একটি বাসে উঠে ডাকাতি ও এক নারীকে গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার রাজা মিয়াকে পাঁচদিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) বিকেলে টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের বিচারক বাদল চন্দ্র চন্দ তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মধুপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মুরাদ হোসেন তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে হাজির করেন।

বৃহস্পতিবার ভোরে টাঙ্গাইল শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে রাজা মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ সময় যাত্রীদের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া তিনটি মোবাইল ফোন তার ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়।

রাজা মিয়া টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার বল্লা গ্রামের হারুন অর রশিদের ছেলে। তিনি টাঙ্গাইল শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করেন। রাজা মিয়া পেশায় টাঙ্গাইলের ঝটিকা বাসের চালক।

বিজ্ঞাপন

রাজা মিয়া ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা আদালতে স্বীকার করেছেন। টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানান, রাজা মিয়া ডাকাতির সময় নিয়ন্ত্রণে নেওয়া বাসটি চালাচ্ছিলেন বলে জানিয়েছেন। এ ছাড়া তিনি পুলিশের কাছে গুরুত্বপূর্ণ আরও তথ্য দিয়েছেন। তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন।

টাঙ্গাইলের এসপি সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থেকে ঈগল এক্সপ্রেসের বাসটি গত মঙ্গলবার রাতে নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশে যাত্রা করে। বাসটি সিরাজগঞ্জের একটি রেস্তোরাঁয় থামে রাত ১১টা ১০ মিনিটে। সেখানে ২০ মিনিটের যাত্রাবিরতি দেওয়া হয়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাসটি যাত্রা করে।

এসপি বলেন, ‘বাসটি সেখান থেকে যাত্রা করার পাঁচ মিনিট পর চার যাত্রী বাসে ওঠার জন্য চালকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সেখান থেকে চার যাত্রী বাসে ওঠেন। এর পাঁচ মিনিট পর আরও তিন যাত্রী ওঠেন। বাসটি চলতে শুরু করার পাঁচ মিনিট পর আবার তিনজন যাত্রী ওঠেন। এই ১০ জন সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্রের সদস্য ছিলেন।’

বিজ্ঞাপন

কুষ্টিয়া থেকে ছেড়ে আসা বাসে যাত্রীবেশে ওঠে একদল ডাকাত। ডাকাতির পর রাস্তার পাশে বাসটি ফেলে রেখে চলে যায় তারা। টাঙ্গাইলের মধুপুরের রক্তিপাড়ায়

টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের এ শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সেতু পার হয়ে টাঙ্গাইল সীমানায় ঢুকে বাসটি চলতে থাকে। বাসটি নাটিয়াপাড়া পার হওয়ার পর এই ১০ জনের একজন চালকের সিটের কাছে যান। অন্য দুজন চালককে সিট থেকে তুলে নিলে ওই ব্যক্তি চালকের আসনে বসেন। বাসটি মির্জাপুরের গোড়াই ওভারপাস পার না হয়ে নিচ দিয়ে ইউটার্ন নিয়ে টাঙ্গাইলের দিকে চলে যায়। বাকি ৯ দুর্বৃত্ত যাত্রীদের সিটের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের জিম্মি করে। পুরুষ যাত্রীদের পোশাক খুলে হাত–মুখ বেঁধে ফেলা হয়। বাসের পর্দা ও সিটের কাভার খুলে নারী যাত্রীদের হাত, মুখ ও পা বেঁধে ফেলে দুর্বৃত্তরা। যাত্রীদের কাছ থেকে সবকিছু কেড়ে নেওয়া হয়।’

টাঙ্গাইলের এসপি সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, ‘বাসটি টাঙ্গাইল থেকে এলেঙ্গা হয়ে কালিহাতী লেন দিয়ে মধুপুরের দিকে যেতে থাকে। রাত ৩টা ২৫ মিনিটে বাসটি মধুপুর সীমানায় ঢোকে। দুর্বৃত্তরা একে একে নেমে যায়। বাসটি রাস্তার পাশে খাদের মধ্যে কাত হয়ে পড়ে যায়। ডান দিক দিয়ে বাসের চালক বেরিয়ে পালিয়ে যান।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/একে

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন