বিজ্ঞাপন

একইসময়ে ছাত্রলীগের ২ পক্ষের দোয়া মাহফিল, ১৪৪ ধারা জারি

August 5, 2022 | 6:19 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

বরগুনা: শহীদ শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষে বরগুনা সরকারি কলেজ মসজিদে একইসময়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষ দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করায় কলেজসহ আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (৫ আগস্ট) বরগুনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শুভ্রা দাস স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।

অফিস আদেশে বলা হয়, বরগুনা সরকারি কলেজে ৫ আগস্ট ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটির সভাপতি ও সভাপতি পদবঞ্চিত দুই গ্রুপ একইস্থানে একইসময়ে দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এতে নেতাকর্মীর মুখোমুখি অবস্থান, বিশৃঙ্খলা, মারামারিসহ যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। তাই বরগুনা সরকারি কলেজসহ আশপাশ এলাকায় ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে এবং একইসঙ্গে ওই এলাকায় সব প্রকার সভা-সমাবেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা হয়েছে।

এছাড়া আদেশে জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান এবং তানভীর আহমদকে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আইনানুগ দিক নির্দেশনা দেওয়ার জন্য ম্যাজিস্টেরিয়াল দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সবুজ মোল্লা বলেন, ‘আমরা আগে থেকেই কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ৫ ও ৮ আগস্ট শহীদ শেখ কামালের জন্মদিন ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মদিন উপলক্ষে বরগুনা সরকারি কলেযে প্রোগ্রামের আয়োজন করি। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই সব প্রকার বিশৃঙ্খলা এড়াতে প্রয়োজনে আমরা কর্মসূচি অন্যত্র করবো। তবে আমাদের হটিয়ে অন্যকেউ যদি প্রোগ্রাম করার চেষ্টা করে তা আমরা মেনে নেব না।’

বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল কবির রেজা জানান, শোকাবহ আগস্টে মাসব্যাপী আমাদের কর্মসূচি রয়েছে। ৫ ও ৮ আগস্ট শহীদ শেখ কামালের জন্মদিন ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মদিন উপলক্ষে বরগুনা সরকারি কলেজ মসজিদে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এখানে অন্য কোন গ্রুপ কোন প্রোগ্রামের আয়োজন করেছে কিনা আমার জানা নেই।

বরগুনা সদর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেহেদী হাসান বলেন, ‘ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের প্রোগ্রামে সহিংসতা ঘটতে পারে। এই পরিস্থিতি বিবেচনা করে সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, দীর্ঘ আট বছর পর গত ১৭ জুলাই বরগুনা শহরের সিরাজউদ্দীন টাউন হল মিলাায়তনে বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ২৪ জুলাই রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটির অনুমোদন দেন। এতে জেলা কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ৩৩ সদস্যের নাম প্রকাশ করা হয়। এরপর থেকেই সদ্য ঘোষিত এ কমিটি প্রত্যাখ্যান করে বরগুনা শহরে পদবঞ্চিতরা কর্মী সমর্থক নিয়ে দফায় দফায় হামলা, ভাঙচুর চালাচ্ছেন।

সারাবাংলা/এমও

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন