বিজ্ঞাপন

মানুষের গায়ে জামা কাপড় রয়েছে, খারাপ আছি মনে করি না: তাজুল ইসলাম

August 10, 2022 | 5:49 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: দেশের কোথাও কোনো মানুষ না খেয়ে নেই। এমনকি প্রত্যন্ত গ্রামগঞ্জেও না খেয়ে নেই। শুধু খাবারই নয় বরং প্রত্যেক মানুষের গায়ে জামাকাপড় রয়েছে। আমরা খুব খারাপ অবস্থায় আছি তা আমি মনে করি না বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১০ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘নিত্যপণ্য ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি: জনজীবনের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী। নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম এ সংলাপের আয়োজন করে।

তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমদানির জন্য কারেন্ট অ্যাকাউন্টে (চলতি হিসাবে) ঘাটতি আছে। কিন্তু দেশে রিজার্ভ আছে। রিজার্ভ দিয়ে এটি কাভার করা যাবে। কাজেই কোনো সমস্যা দেখছি না।’

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আমদানি করছি বেশি। বাংলাদেশ প্রতি মাসে ৮ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণের আমদানি করে। এতে একদিকে আমাদের ওপর আর্থিক চাপ আসছে, আরেক দিকে দেখে খুশিও লাগছে যে বাংলাদেশ মাসে ৮ বিলিয়ন ডলার আমদানি করে। একসময় আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৯ বিলিয়ন ডলার। আমরা তো এখন এটা হ্যান্ডেল করতে (সামাল দিতে) পারছি।’

বিজ্ঞাপন

দেশের সক্ষমতা বেড়েছে দাবি করে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘গ্রামগঞ্জের কোনো মানুষ না খেয়ে নেই। প্রত্যেক মানুষ খেতে পারছে। প্রত্যেক মানুষের গায়ে জামাকাপড় আছে। আমি মনে করি না, আমরা খুব খারাপ অবস্থায় আছি। একটা প্যানিক (আতঙ্ক) সৃষ্টি করে ভয় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘কেউ বলতে পারবে না পৃথিবীর অবস্থা কোন দিকে যাবে। দুঃসময় সারাপৃথিবীতেই চলছে। এটি বর্তমান সরকার তৈরি করেনি।’

তাজুল ইসলাম বলেন, ‘হ্যাঁ, আপনি বলছেন, এই দেশ থেকে টাকা পাচার হয়ে গেছে। এখন টাকা তো গেছে, তাদের ধরেন। বলবেন, আপনি ধরেন না কেন? ধরার জন্য আমাদের যে চেষ্টা নেই, এটি বলব কী করে। এটি তো আজকে না, প্রথম থেকেই গেছে। বহুজনের টাকাও আনা হয়েছে বিদেশ থেকে।’

বিজ্ঞাপন

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ঋণ নেওয়ার জন্য কোনো শর্ত নেই বলেও দাবি করেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আইএমএফ থেকে আমরা মাঝে মাঝে ঋণ নিই, আবার দিয়েও দিই। করোনার সময় নেওয়া হয়েছে দুই মিলিয়ন ডলারের মতো, সেটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন তারা দেখে, আমরা তাদের টাকা নিয়ে ফেরত দিতে পারব কি না। এ জন্য তারা কোনো কোনো জায়গায় (বিষয়ে) পরামর্শ দেয়।’

এখনও বিভিন্ন ঋণদাতা সংস্থা ঋণ দেওয়ার জন্য আসে দাবি করে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের অবস্থা যদি এত খারাপ হয়, তাদের কি মাথা খারাপ হয়েছে ঋণ দেওয়ার জন্য।’

তিনি বলেন, ‘বন্যায় সিলেট ও সুনামগঞ্জে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি সারিয়ে নেওয়ার কাজ করার জন্য নতুন প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক আমাদের সেঁধে টাকা দিচ্ছে। বিশ্বব্যাংক এসে ঘুরছে বিভিন্ন প্রকল্পে টাকা দেওয়ার জন্য। তারা ঋণ কখন দেয়, যখন আমরা শোধ করতে পারি।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ইউজে/একে

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন