August 12, 2022 | 9:34 pm
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ঢাকা: যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও পর্তুগাল গত মাসে নজিরবিহীন দাবানলের পর এবার তীব্র খরার কবলে পড়েছে। দেশগুলোর বিভিন্ন অঞ্চলে মাটির নিচের জলস্তর কমে গেছে, জলাশয় শুকিয়ে গেছে। এদিকে ফ্রান্সে ভয়াবহ দাবানল নেভাতে কাজ করছেন শত শত দমকলকর্মী।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ইউরোপের বেশিরভাগ অঞ্চলের তাপমাত্রা অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। এতে জার্মানির রাইন নদীতে জলের পরিমাণ আশঙ্কাজনক মাত্রায় কমে গেছে। যুক্তরাজ্যের টেমস নদীর উৎসধারায় পানির স্তরও নেমে গেছে।
জার্মানির রাইন নদীর কিছু এলাকায় পানির উচ্চতা মাত্র দেড় মিটার। ফলে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। যুক্তরাজ্যে গ্রীষ্মকালজুড়ে বহু এলাকায় স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। ফলে এসব এলাকায় মাটির নিচের পানির স্তর নেমে গেছে।
যুক্তরাজ্যের আবহাওয়া সংস্থা ডেভন এবং কর্নওয়াল, সোলেন্ট এবং সাউথ ডাউনস, কেন্ট এবং দক্ষিণ লন্ডন, হার্টস এবং উত্তর লন্ডন, পূর্ব অ্যাংলিয়া, টেমস, লিঙ্কনশায়ার এবং নর্থহ্যাম্পটনশায়ার এবং পূর্ব মিডল্যান্ডসে খরা ঘোষণা করেছে। জলস্তর নিচে নেমে যাওয়ায় এসব এলাকায় হোসপাইপ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। চলতি আগস্টে আরও কয়েকটি এলাকাও খরার কবলে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে দাবানল ঠেকাতে ইউরোপের অন্যান্য দেশ থেকে দমকলকর্মীরা ফ্রান্সে গিয়েছেন। রোমানিয়া, গ্রিস, পোল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, ইতালি থেকে ১১০০ দমকলকর্মীরা ফ্রান্সের দাবানল ঠেকাতে কাজ করছেন।
সারাবাংলা/আইই