August 17, 2022 | 6:10 pm
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান গত ১৩ বছরে কী পরিমাণ বেতন-বোনাস ও অন্যান্য সুবিধা গ্রহণ করেছেন, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। ৬০ দিনের মধ্যে তা দাখিলের জন্য ওয়াসার বোর্ডের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ঢাকা ওয়াসার এমডিকে অপসারণে নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং তাকে অপসারণের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন আদালত।
বুধবার (১৭ আগস্ট) কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) পক্ষে করা এক রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
স্থানীয় সরকার সচিব, ঢাকা ওয়াসা বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়।
জ্যোতির্ময় বড়ুয়া পরে সাংবাদিকদের বলেন, গত ১৩ বছর ওয়াসা বোর্ড বিভিন্ন রেজুলেশনের মাধ্যমে ব্যবস্থাপনা পরিচালককে কী বেতন-ভাতা এবং টিএ-ডিএসহ অন্যান্য যেসব সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে, তার পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব আগামী ৬০ দিনের মধ্যে হাইকোর্টে দাখিলের জন্য আবেদন করেছিলাম, আদালত তা অনুমোদন করেছেন।
তাকসিম ২০০৯ সাল থেকে ঢাকা ওয়াসার এমডি পদে রয়েছেন। প্রথম নিয়োগের পর থেকে মোট ছয়বার তার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে তিনি প্রতি মাসে বেতন-ভাতা বাবদ ছয় লাখ ২৫ হাজার টাকা পান।
সারাবাংলা/কেআইএফ/আইই