তেজগাঁও কলেজ ছাত্র রিফাত হত্যা: যাবজ্জীবন প্রাপ্ত সবাইকে খালাস

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: দুই যুগেরও বেশি সময় আগে তেজগাঁও কলেজের শিক্ষার্থী নুরুল ইসলাম রিফাত হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন— শামছু হাবিব বিদ্যুৎ, রুমান কার্জন, মানিক ও রাসেল কবীর।

আসামিদের রিভিউয়ের শুনানি নিয়ে গতকাল বুধবার (১৭ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ রায় দেন। আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও এসএম শাহজাহান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মুহাম্মদ (এসকে) মোর্শেদ।

২০১৪ সালের এ মামলায় এর আগেও একবার রায় দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। আপিল বিভাগের তৎকালীন জ্যেষ্ঠ বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহার নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ আসামিদের যাবজ্জীবন দণ্ডাদেশ দেন। পরবর্তীতে আসামিরা রিভিউ করলে মামলাটি ফের আপিল শুনানিতে আসে।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ১৯৯৭ সালের ২৭ জানুয়ারি সন্ধ্যায় তেজগাঁও কলেজের ছাত্র রিফাতকে ৩৭২ ডিওএইচএস মহাখালী বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায় আসামি শামছু হাবিব বিদ্যুৎ। পরদিন মহাখালীর জাহাদ হোটেলের পেছনে রেললাইনে তার মরদেহ পাওয়া যায়।

এ ঘটনার পরদিন রিফাতের আরেক বড় ভাই মো. ইসমাইল হোসেন বাদী হয়ে ৮ আসামির বিরুদ্ধে ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন। পরের বছর অর্থাৎ ১৯৯৮ সালের ৭ জানুয়ারি ৮ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে ২০০৭ সালের ২১ জুন তৎকালীন ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত আট আসামিকে যাবজ্জীবন সাজা দিয়ে রায় ঘোষণা করেন।

মামলার শুরু থেকেই মো. সেলিম খান নামের এক আসামি পলাতক থাকায় বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত সাত আসামি হাইকোর্টে আপিল করেন। পরে ২০১০ সালের ১০ নভেম্বর বিচারপতি মুসা খালেদ ও বিচারপতি আজিজুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ ছয় আসামির সাজা বহাল ও তাইজুদ্দিন আহমেদ টিটু নামের এক আসামিকে খালাস দিয়ে রায় ঘোষণা করেন।

হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা আপিল করলে ২০১৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের তৎকালীন জ্যেষ্ঠ বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহার নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ পাঁচজনের সাজা বহাল রাখেন এবং ওমর ফারুক রাসেল নামের এক আসামিকে খালাস দেন।

নিহত নুরুল ইসলাম রিফাত বেসরকারি টেলিভিশন সম্প্রচারমাধ্যম চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদের ছোট ভাই হয়।

সারাবাংলা/কেআইএফ/এনএস