বিজ্ঞাপন

ক্রেনটি চালাচ্ছিলেন হেলপার, চালকেরও ছিল না লাইসেন্স

August 18, 2022 | 11:57 am

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: রাজধানীর উত্তরায় বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের গার্ডার চাপায় ৫ জন নিহতের ঘটনায় দুর্ঘটনাকবলিত ক্রেনটি চালাচ্ছিলেন চালকের সহকারী রাকিব। আর বাইরে থেকে নির্দেশনা দিচ্ছিলেন মূল অপারেটর আল আমিন। চালকেরও ছিল না ভারী লাইসেন্স।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) বেলা পৌনে ১২টায় কারওয়ান বাজার মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এসব তথ্য জানান।

র‍্যাব জানিয়েছে, ক্রেনের মূল অপারেটর আল আমিনের হালকা গাড়ি চালানোর অনুমোদন থাকলেও ভারী গাড়ি চালানোর লাইসেন্স নেই। ২০১৬ সালে ক্রেন চালানোর প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর দুই-তিনটি নির্মাণ প্রকল্পে কাজ করেন। পরে ২০২২ সালের মে মাসে বিআরটি প্রকল্পে ক্রেন অপারেটর হিসেবে কাজ শুরু করেন। অন্যদিকে হেলপার রাকিব তিন মাস আগে প্রকল্পের ক্রেন হেলপার হিসেবে কাজ শুরু করেন। তার ক্রেন চালানোর কোনো প্রশিক্ষণ ছিল না। দুর্ঘটনার দিন দুপুর ২টায় আল আমিন ও রাকিব ক্রেন চালানো শুরু করেন। একটি গার্ডার স্থাপন শেষে ২য় গার্ডার স্থাপনের সময় ক্রেনের ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত ওজনের গার্ডার উত্তোলন করতে গেলে ক্রেনটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। তখন ক্রেনে থাকা গার্ডারটি প্রাইভেটকারের ওপর পড়ে।

এ ঘটনায় গ্রেফতার ১০ জন হলেন— মো. আল আমিন হোসেন হৃদয়, সহকারী রাকিব হোসেন, দুর্ঘটনাস্থলে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ফোর ব্রাদার্স গার্ড সার্ভিসের ট্রাফিক ম্যান মো. রুবেল, মো. আফরোজ মিয়া, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সেফটি ইঞ্জিনিয়ার মো. জুলফিকার আলী শাহ, হেভি ইকুইপমেন্ট সরবরাহের দায়িত্বে নিয়োজিত ইফকন বাংলাদেশ লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী মো. ইফতেখার হোসেন, হেড অব অপারেশন মো. আজহারুল ইসলাম মিঠু, ক্রেন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বিল্ড ট্রেড কোম্পানির মার্কেটিং ম্যানেজার তোফাজ্জল হোসেন তুষার, প্রশাসনিক কর্মকর্তা রুহুল আমিন মৃধা ও মো. মঞ্জুর ইসলাম।

বিজ্ঞাপন

তাদের রাজধানীর জুরাইন, যাত্রাবাড়ী, কালশী, সাভার, গাজীপুর, সিরাজগঞ্জ ও বাগেরহাটে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে।

১৫ আগস্ট বিকেলের ওই ক্রেন দুর্ঘটনায় দুই শিশুসহ ৫ জন নিহত হন। প্রাণে বেঁচে যান প্রাইভেটকারে থাকা নবদম্পতি।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ইউজে/এএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন