বিজ্ঞাপন

গার্ডার চাপায় ৫ জনের প্রাণহানি: ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন

August 21, 2022 | 3:45 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: রাজধানীর উত্তরায় গার্ডারচাপায় ৫ জনের মৃত্যুর ঘটনায় অবহেলাজনিত নরহত্যার অভিযোগে ১০ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলা দায়েরের আবেদন করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

রোববার (২১ আগস্ট) দুপুরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিমের আদালতে নিহত আইয়ুব হোসেন রুবেলের প্রথম স্ত্রী শাহিদা খানম মামলাটির আবেদন জমা দেন।

এসময় আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে আদেশ পরে দেবেন বলে জানান।

বাদীপক্ষের আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস বিশ্বাস এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

বিজ্ঞাপন

মামলার আবেদনে যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (আইএফএসসিওএন ইঞ্জিনিয়ারিং) ইফতেখার হোসেন ও হেড অব অপারেশনস আজহারুল ইসলাম মিঠু, সিজিজিসি‘র প্রকিউরমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল ইসলাম, সেফটি ইঞ্জিনিয়ার জুলফিকার আলী শাহ, ক্রেন চালক আলামিন হোসেন ওরফে হৃদয়, হেলপার রাকিব হোসেন, ইফতেখার হোসেন, তোফাজ্জল হোসেন তুষার, রুহুল আমীন মৃধা, রুবেল ও আফরোজ মিয়া।

অভিযোগে বলা হয়, গত ১৫ আগস্ট উত্তরা পশ্চিম থানাধীন প্যারাডাউস টাওয়ারের সম্মুখে আশুলিয়া গামী ঢাকা ময়মনসিংহ সেক্টর-৩ এর ৩ নং রোডে প্রাইভেটকারের ওপর বিআরটিএ প্রকল্পের অধীনে কর্মরত ৫০ টন ওজনের গার্ডার বক্স আছড়ে পড়ে গাড়িতে অবস্থানরত আইয়ুব হোসেন রুবেল ওরফে নুর ইসলাম রুবেলসহ ৫ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটে।

বিআরটিএ প্রজেক্টের চাইনিজ প্রতিষ্ঠান সিজিজিসি, ওয়ার্ক অর্ডারের মাধ্যমে একটি ক্রেন সরবরাহ করার জন্য আইএফএসসিওএন ইঞ্জিনিয়ারিং দায়িত্ব দেওয়া হয়। ওই ইঞ্জিনিয়ারিং এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইফতেখার হোসেন ও হেড অব অপারেশনস আজহারুল ইসলাম মিঠু এবং রুহুল আমীন ও মঞ্জুরুল ইসলামের মাধ্যমে পরস্পর যোগসাজসে অযোগ্য ড্রাইভার এবং হেলপার সংগ্রহ করে প্রতিষ্ঠানকে সরবরাহ করেছে।

বিজ্ঞাপন

অভিযোগে আরও বলা হয়, চাইনিজ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিজিজিসি‘র প্রকিউরমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন মঞ্জরুল ইসলাম যা যাচাই বাছাই না করেই অবৈধ সুবিধা গ্রহণ করার মানসে জাতীয় পর্যায়ের প্রজেক্টে অদক্ষ জনবল নিয়োগের মাধ্যমে চরম অবহেলা ও ঝুঁকিপূর্ণ নির্মাণ কাজ চালান। এর মাধ্যমে তাৎক্ষণিক ত্রাইসিস মোকাবেলার কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করে এতগুলো প্রাণ সংহারে সহযোগিতা করেছে।

প্রতিষ্ঠানের সেফটি ইঞ্জিনিয়ার জুলফিকার আলী শাহ দায়িত্বকালীন সময়ে হেলথ সেফটি অ্যান্ড ইনভাইরোমেন্টের ওপর কোনো জ্ঞান না থাকায় সেফটির জন্য পদক্ষেপ কখনোই গ্রহণ করেননি। চরম অবহেলা এবং খামখেয়ালিপনা করে প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে দীর্ঘদিন যাবৎ সুবিধা ভোগ করে চলেছেন, যার ফলশ্রুতিতে ৫ জন মৃত্যুবরণ করেছে। ঘটনার সময় আলামিন ও রাকিব মৃত্যু পরিস্থিতি জেনেও কোনোরূপ সহযোগিতা না করেই স্থান ত্যাগ করে পালিয়ে যান।

উল্লেখ্য, গত ১৫ আগস্ট বিকেলে উত্তরার আড়ং শো-রুমের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- গাড়ির মালিক রুবেল (৫০), ফাহিমা (৪২), ঝর্না (২৮), দুই শিশু জান্নাত (৬) ও জাকারিয়া (২)। আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে নবদম্পতি হৃদয় (২৬) ও রিয়া মনিকে (২১)। তবে ভাগ্যক্রম বেঁচে যান নববিবাহিত দম্পতি হৃদয় ও রিয়া।

ওই ঘটনায় দিবাগত রাতেই নিহত ফাহিমা আক্তার ও ঝর্না আক্তারের ভাই আফরান মণ্ডল বাবু উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এআই/একে

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন