বিজ্ঞাপন

‘ক্যাসিনো, জুয়া, মাদকে জড়িত অপরাধীদের ছেড়ে দিচ্ছে সরকার’

August 27, 2022 | 5:46 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ক্যাসিনো, জুয়া, মাদক ব্যবসাসহ জঘন্য অপরাধে জড়িতদের সরকার ছেড়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (২৭ আগস্ট) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চের বিক্ষোভ সমাবেশ বক্তারা এমন অভিযোগ করেন। বিক্ষোভ সমাবেশ ও পদযাত্রা কর্মসূচিতে সাতটি দলের নেতারা এমন অভিযোগ করেন।

সমাবেশে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, ‘এই সরকার একটি নিষ্ঠুর সরকার। জনগণের সঙ্গে এই সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই। এই সরকারকে বিদায় করতে হবে। সরকার দলের লোকজন মনে করেন, আমরা কৃতদাস। আমরা এই সরকার চাই না।’

তিনি আরও বলেন, ‘সরকার বলেছিল, গরিবদের ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়াবে। কিন্তু এখন সেই চালের কেজি ৬০ টাকা। যারা জুয়া খেলার ক্যাসিনো তৈরি করেছে, তাদের ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। তাহলে বাংলাদেশের কোর্ট-আদালত কোথায়? বাধা দিলে লড়াই বাঁধবে।’

বিজ্ঞাপন

রব বলেন,‘‘যারা বাংলাদেশে ক্যাসিনো চালু করেছেন, জুয়া খেলা চালু করেছেন, তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কোর্ট-কাচারি কোথায়? তারা গিয়ে বঙ্গবন্ধুর কবরে ফুল দিচ্ছেন।’

গণ অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক বলেন, ‘ক্যাসিনো, মাদক ব্যবসাসহ জঘন্য অপরাধে জড়িত অপরাধীদের শেখ হাসিনা নির্বাচন উপলক্ষে ছেড়ে দিচ্ছেন। যাতে ঢাকায় তারা গুন্ডামি, মাস্তানি করে। জনগণের ওপর দমন–পীড়ন চালিয়ে জনগণকে ভয় দেখিয়ে রাখতে পারে। গত ১০ বছরে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে এই সরকার কোনো অভিযান চালায়নি। কারণ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের গুন্ডাদের প্রশিক্ষিত করা হয়েছে। সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো তারা দাসত্বের শৃঙ্খলায় আবদ্ধ করেছে।’

সমাবেশে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘অনেক দেন-দরবার করার পর পুলিশের সবচেয়ে বড় কর্মকর্তাকে জাতিসংঘ আমন্ত্রণ জানিয়েছে, ভিসা পেয়েছেন। কিন্তু তিনি এই কনফারেন্সে যোগ দেওয়ার বাইরে কোথাও যেতে পারবেন না। এর চেয়ে লজ্জার কিছু থাকতে পারে? পুলিশকে আজ সারা পৃথিবীর বুকে নিন্দার পাত্র বানানো হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘নানা জায়গা বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশে এ সরকারের গুন্ডা বাহিনী ছাত্রলীগ, যুবলীগ নানাভাবে হামলা করছে এবং একইসঙ্গে রাষ্ট্রের পুলিশ বাহিনীও হামলা চালাচ্ছে। হামলা করে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। এ সরকার ডলার সংকটে আমদানির বিল দিতে পারছে না। দুর্নীতির কারণে হচ্ছে। জ্বালানি তেলে লাভ করেছেন, কর, ভ্যাট নিয়েছেন, সমন্বয় করেন। তাহলে এই দাম বাড়ানোর দরকার নেই। মানুষের ভয়াবহ নাভিশ্বাস অবস্থা। মানুষের পেটে লাথি মারবেন না।’

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাউয়ূম বক্তব্য দেন।

বিক্ষোভ সমাবেশে সরকার ও শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন কর, জ্বালানি তেলের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার কর ও দাম কমাও-মানুষ বাঁচাও’ ইত্যাদি স্লোগান স্লোগান দেওয়া হয়। সমাবেশ শেষে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে একটি পদযাত্রা বের হয়ে পল্টন মোড় হয়ে কাকরাইলে গিয়ে শেষ হয়।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/কেআইএফ/পিটিএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন