বিজ্ঞাপন

বিড়াল পুষলে মানসিক চাপ কমে!

August 30, 2022 | 4:06 pm

জান্নাত শ্রাবণী

বিড়াল। এই নামটা শুনলেই কানে বাজতে থাকে ‘মিউ মিউ’ করা একটি সুন্দর ডাক। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে অনেকের কাছে এই ডাকটি বিরক্তির কারণও হয়ে থাকে। বিড়াল বন্ধুসুলভ এক স্তন্যপায়ী প্রাণী। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো বিড়াল প্রায় ১০০ ধরনের আলাদা শব্দ করতে পারে। আরও মজার বিষয় হচ্ছে, বিড়াল মূলত মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের জন্যই মিউ মিউ শব্দটি ব্যবহার করে।

বিজ্ঞাপন

এছাড়া বিড়াল ২০-১৪০ হার্জ শব্দ উৎপাদন করে— যা শরীরের পেশি ও অস্থিসন্ধি প্রদাহ নিরাময়ে থেরাপির মতো কাজ করে। যারা বিড়াল পুষেন তারা শারীরিকভাবে অন্য সবার চেয়ে তুলনামূলকভাবে একটু বেশিই সুস্থ থাকেন। কারণ বিড়াল পুষলে মানসিক চাপ তেমন থাকে না বলে দাবি করেছেন গবেষকরা। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। যারা বিড়াল পোষে তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ কম।

বিজ্ঞাপন

এবার চলুন জেনে নেই বিড়াল সর্ম্পকে মজার সব অজানা তথ্য—

বিড়াল (ফেলিস ক্যাটাস) ফেলিডা পরিবারের একমাত্র গৃহপালিত প্রজাতি। আর এটিকে পরিবারের বন্য সদস্যদের থেকে আলাদা করার জন্য গার্হস্থ্য বিড়াল বলা হয়। গার্হস্থ্য বিড়ালদের সাহচর্য ও তীক্ষ্ণদন্তী প্রাণী শিকারের দক্ষতার জন্য মানুষ এদের মূল্যবান বলে মনে করে।

বিজ্ঞাপন

ষষ্ঠ শতাব্দীর শুরুতে প্রথম ব্যবহৃত মৃত লাতিন শব্দ ‘cattus’ থেকে উদ্ভূত ইংরেজি ‘cat’ শব্দটি। এছাড়া বাংলাভাষায় ‘বিড়াল’ ও ‘বেড়াল’ উভয় বানান শুদ্ধ হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

বিড়ালের শারীরিক গঠন অন্যান্য ফেলিডি প্রাণীর অনুরূপ দৃঢ় নমনীয়, ত্বরিত প্রতিক্রিয়াশীল, এদের তীক্ষ্ণ দাঁত ও সংকোচনীয় থাবা ক্ষুদ্র শিকারে পারদর্শী। এদের নৈশদৃষ্টি এবং ঘ্রাণশক্তি অত্যন্ত প্রখর।

খ্রিস্টপূর্ব ৩১০০ সাল থেকে প্রাচীন মিশরে বিড়ালের পূজা করা হতো। মিশরীয় যুগের পর, এখন থেকে প্রায় ৫০০০ হাজার বছর পূর্বে চীনা কৃষকরা প্রথম বুঝতে পারেন বিড়াল বাড়িতে পালন সম্ভব। ২০১৯-২০ এর হিসাব অনুযায়ী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পোষা পাখির পর বিড়াল দ্বিতীয় জনপ্রিয় পোষা প্রাণী ঘোষণা করা হয়েছিল, যেখানে প্রায় ৪২.৭ মিলিয়ন পোষা বিড়াল ছিল। ২০১৯-এর হিসাব অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যের ৪.৮ মিলিয়নেরও বেশি পরিবারে প্রায় ৭.৩ মিলিয়ন বিড়াল বাস করত।

বিজ্ঞাপন

মানুষের ফিঙ্গারপ্রিন্টের মত প্রতিটি বিড়ালের নাকের প্যাটার্ন আলাদা। এমনকি উসাইন বোল্টের চেয়েও একটি বিড়াল বেশি গতিতে দৌড়াতে পারে।

অধিকাংশ মেয়ে বিড়াল ডানহাতি এবং ছেলে বিড়াল বামহাতি হয়ে থাকে। মানুষের মত বিড়ালও ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখে। একটি বিড়াল তার উচ্চতার প্রায় ৭ গুন লাফিয়ে উঠতে পারে। বিড়ালের শুধু পায়ের পাতা, ঠোঁট ও থুতনি ঘামে। বিড়াল তার জীবনের ৩০ থেকে ৫০ ভাগ সময় ব্যয় করে নিজেকে পরিষ্কার করতে। বেশিরভাগ বিড়াল গান পছন্দ করে না। বিড়াল মিষ্টি স্বাদ পায় না। কিছু বিড়াল পানি খুবই পছন্দ করে, যেমন- টার্কিশ এঙ্গোরা, জাপানি ববটেল, বেঙ্গাল ইত্যাদি জাতের বিড়াল।

বিড়াল আল্ট্রাসনিক শব্দ শুনতে পারে যা আমরা মানুষ পারি না। একাধারে অনেকক্ষণ তাকিয়ে থাকলে বিড়াল তা হুমকি হিসেবে মনে করে। বিড়াল দিনে প্রায় ১৬ থেকে ১৮ ঘণ্টা ঘুমিয়ে কাটায়। অনেক উঁচু থেকে পড়ে গিয়েও বেঁচে ফিরেছে প্রায় ৯২ শতাংশ বিড়াল।

পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী বিড়াল ছিল ‘ব্ল্যাকি’। তার মালিক তার নামে প্রায় ১২.৫ মিলিয়ন ডলারের সম্পদ লিখে গিয়েছিল। এ পর্যন্ত প্রমাণিত পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি আয়ুষ্কাল পেয়েছিল ‘ক্রিম পাফ’ নামের একটি বিড়াল, ৩৮ বছর বেঁচেছিল।

তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট, উইকিপিডিয়া ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম

সারাবাংলা/এসবিডিই/এএসজি

Tags: , , , , , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন