বিজ্ঞাপন

ঢাবি শিক্ষার্থীকে অপহরণ করা ব্যক্তিকে খুঁজছে পুলিশ

September 2, 2022 | 9:34 am

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: রাজধানীর কল্যাণপুর এলাকা থেকে রিকশার গতিরোধ করে পুলিশ লেখা এক মোটরসাইকেলধারী ব্যক্তি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর ওই শিক্ষার্থীকে রাজধানীর তুরাগ থানাধীন দিয়াবাড়ি এলাকায় নেওয়ার পর তার কাছ থেকে সবকিছু কেড়ে নিয়ে পালিয়ে যান। এরমধ্যে গলায় থাকা সোনার চেইন, কানের দুলও রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে গতকাল বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, ঢাবির এক শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে সবকিছু কেড়ে নিয়েছে এক ব্যক্তি। এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থী তুরাগ থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলাটি তদন্ত করছে ডিবি পুলিশ। আমরা ওই ব্যক্তিকে খুঁজতেছি। এরইমধ্যে আমরা ঘটনাস্থল থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। মোটরসাইকেলের নম্বর শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

ডিবি কর্মকর্তা বলেন, ঢাবি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে যতটুকু জেনেছি, রিকশা গতিরোধের পর তার কাছে থাকা ব্যাগের দিকে তাকিয়ে কর্কশ ভাষায় বলতে থাকেন— এ ব্যাগে অবৈধ জিনিসপত্র রয়েছে। আপনাকে থানায় যেতে হবে। এর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে রিকশা থেকে নামিয়ে ওই ছাত্রীকে মোটরসাইকেলে তুলে দ্রুতগতিতে ছুটতে থাকেন ওই ব্যক্তি। এরপর তুরাগ থানার দিয়াবাড়ির নির্জন এলাকায় নিয়ে ছুরিকাঘাতের ভয় দেখিয়ে ওই ছাত্রীর গলায় থাকা সোনার চেইন, কানের দুল ছিনিয়ে নেন। অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আশা করছি শিগগির এর রহস্য উদঘাটন করা হবে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর অভিযোগে বলা হয়, গত ২৫ আগস্ট দুপুর দেড়টায় তিনি কল্যাণপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে রিকশাযোগে বাসায় যাচ্ছিলেন। এমন সময় হঠাৎ মোটরসাইকেলে আসা এক ব্যক্তি গতিরোধ করে নিজেকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাকে দাঁড়াতে বলেন। পুলিশ পরিচয় দেওয়া ব্যক্তির মোটরসাইকেলের সামনে পুলিশের স্টিকার লাগানো ছিল। গতিরোধ করে পুলিশ পরিচয় দেওয়া ব্যক্তি তাকে বলেন, আপনার সঙ্গে থাকা ব্যাগে অবৈধ জিনিসপত্র রয়েছে, আপনাকে থানায় যেতে হবে।

বিজ্ঞাপন

এ অবস্থায় পুলিশ পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তির বক্তব্যে বিব্রত হয়ে তার মোটরসাইকেল ওঠেন ভুক্তভোগী। শিক্ষার্থীকে মোটরসাইকেলে তুলেই দ্রুতগতিতে ছুটতে থাকেন ওই ব্যক্তি। একপর্যায়ে দিয়াবাড়ির নির্জন এলাকায় নিয়ে ছুরিকাঘাতের গলায় থাকা সোনার চেইন এবং কানের দুল ছিনিয়ে নেন।

ভুক্তভোগীর সোনার গহনা লুট করার সময় পাশ দিয়ে স্থানীয় এক ব্যক্তি মোটরসাইকেলে যাচ্ছিলেন। ভুক্তভোগীর সঙ্গে পুলিশ পরিচয় দেওয়া ব্যক্তির আচরণ অস্বাভাবিক মনে হলে তিনি এগিয়ে যান। স্থানীয় ব্যক্তিকে এগিয়ে আসতে দেখে পুলিশ পরিচয় দেওয়া ব্যক্তি তার সোনার চেইন ও ব্যাগ নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যান।

পরে স্থানীয় ওই ব্যক্তি বিষয়টি তুরাগ থানা পুলিশকে জানালে পুলিশের একটি দল ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে। ওই দিনই তুরাগ থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন অপহরণের শিকার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ইউজে/এনএস

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন