বিজ্ঞাপন

কাশফুলের সৌন্দর্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয় ক্যাম্পাস

September 4, 2022 | 11:52 am

মো. আবদুল্লাহ আল মামুন

বাংলাদেশের অন্যতম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। এটি পুরান ঢাকার সদরঘাটে অবস্থিত। খুব ছোট একটা ক্যাম্পাস দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পথচলা। এটি ঢাকার সবচেয়ে প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কিন্তু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব দ্বিতীয় ক্যাম্পাস তৈরি করা হচ্ছে কেরানীগঞ্জ উপজেলার তেঘরিয়া ইউনিয়নের বুড়িডাঙা গ্রামে। বর্তমান ক্যাম্পাস বুড়িগঙ্গার তীরে অবস্থিত থাকলেও স্থানান্তর করা হবে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে। আর বর্তমান ক্যাম্পাস ব্যবহৃত হবে গবেষণার জন্য। খুব সময়ে নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে অভাবনীয় সাফল্য দেখিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশের ষড় ঋতুর মধ্যে এখন শরৎকাল। আর এই সময়ে ফুটে প্রিয় কাশফুল। সাধারণত নদী তীর এবং পানির কাছাকাছি ফাকা বালুময় জমিতে প্রচুর কাশফুল ফুটে। শরতকাল অর্থাৎ সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর মাসে সাধারণত কাশফুল ফুটে। তাই কাশবন বেড়ানোর জন্যে উপযুক্ত সময় তখনই। তবে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি বা শেষের দিকে কাশফুলের দেখা বেশি পাওয়া যায়। শরৎ আসে বর্ষার পরে । শরতের আগমন বাংলার মানুষের কাছে সুখের, আনন্দের। শরতের আগমনে প্রকৃতি ভালবাসার এক অপরূপ সৌন্দর্যে মেতে ওঠে। শরতের আকাশ আমাদের দৃষ্টিকে করে মুগ্ধ, মনকে করে ফুরফুরে। বর্ষার আকাশ ছিল মেঘে পরিপূর্ণ। ভারী মেঘের আনাগোনা আর বর্ষণে সূর্যের দেখা ধুপছায়ার মতো। শরতের আগমনে হঠাৎ করে আকাশের রূপ যায় পাল্টে। নীলাকাশে ভাসমান সাদা মেঘগুলো হয়ে যায় পেঁজা তুলোর মতো। শুভ্র-মায়াবী মেঘের ভেলা ফুরফুরে বাতাসে উড়তে থাকে দিগন্ত থেকে দিগন্তে। মেঘের ভেলায় চড়ে উড়ে যেতে চায় স্বপ্নপিয়াসী মন দিগন্তজোড়া নীলাকাশে যখন পাখ-পাখালি উড়ে যায় খেয়ালি পাখনা মেলে তখন আমাদের নয়ন জুড়িয়ে যায়। প্রকৃতপক্ষে শরতের আকাশই এ ঋতুর সৌন্দর্য বাংলার প্রকৃতিতে নেমে আসে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নির্মাণাধীন। কিন্ত সেখানে উঁকি দিয়েছে অজস্র ধবল কাশফুল। ক্যাম্পাসের অনেক জায়গায় বিস্তৃত শরতের সেরা ফুল। এর সৌন্দর্য সাদা মেঘের ভেলা যেন হার মেনে যায়। কাশফুলের এমন সৌন্দর্য হাতছানি দিচ্ছে অজস্র ধবল কাশফুল প্রেমী মানুষদের। এটি শুভ্রতার প্রতীক। শরতে সাদা মেঘের ভেলা আসমানে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত দুর্বার গতিতে ছুটে চলছে। আর সেই সাদায় মাতোয়ারা হয়ে সাদা কাশফুলের হাতছানি। কারণ সে মেঘের রাজ্যে উড়ে যেতে চাই। সে উড়ে উড়ে দেখবে আসমান থেকে মৃত্তিকার বুকে কিভাবে সৌন্দর্য তার মত অজস্র ধবল কাশফুল। মৃদু বাতাসে মনপ্রাণ জুড়িয়ে নৃত্য করে। তবুও কাশফুল শিকড় বন্দি। তার কোনো ডানা নেই, তবু মেঘের সাথে পাল্লা করে উড়তে যাওয়ার শখ জেগেছে। তার মনে প্রশ্ন জাগে সাদা মেঘের ডানা নেই, তবু কিভাবে উড়ে। কিন্তু তার জন্য প্রকৃতিপ্রেমীর রয়েছে অনেক ভালবাসা। তথাপি কাশফুলের মন বিষন্ন থাকে। কারণ অন্যান্য ফুল প্রজাপতির ছোয়া পায় এবং কাশফুলের সাথে খেলা করে। এই ফুলের ঘ্রাণ না থাকায় প্রজাপতি খেলে না। কোনো ফুলে ঘ্রাণ স্থায়ী নয়। ঘ্রাণে প্রেম নয়, বরং সাদা কাশফুলের সৌন্দর্যের প্রেমে পড়ে কবি সাহিত্যিক। আর এই প্রেম অনন্ত কাল থাকে। একজন লেখকের মৃত্যু হয়, কিন্তু তার লেখনীর নয়।

লেখক: শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসবিডিই/এএসজি

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন