বিজ্ঞাপন

ঋণখেলাপ: চট্টগ্রামের ২ ব্যবসায়ীকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার

September 6, 2022 | 7:28 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: আদালতের পরোয়ানার ভিত্তিতে চট্টগ্রামের দণ্ডিত এক ঋণখেলাপী ব্যবসায়ীসহ দু’জনকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার অপরজন চেক প্রতারণার অভিযোগে দায়ের হওয়া ২১টি মামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামি। এই দুইজন আত্মগোপনে ছিল।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আলাদাভাবে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করেছে হালিশহর ও ডবলমুরিং থানা পুলিশ।

প্রায় ৮০ কোটি টাকা খেলাপী ঋণের জন্য বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইকবাল (৫৫) নগরীর হালিশহর হাউজিং এলাকার বাসিন্দা। তামান্না এন্টারপ্রাইজ নামে একটি টাইলস বিক্রয় প্রতিষ্ঠানের মালিক তিনি। ওই প্রতিষ্ঠানের শোরুম দেশের বিভিন্নস্থানে আছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

হালিশহর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুফল কুমার দাশ সারাবাংলাকে বলেন, ‘তামান্না এন্টারপ্রাইজের নামে ইকবাল ও তার দুই ভাই ইসলামী ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক ও এক্সিম ব্যাংক থেকে প্রায় ৮০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে পরিশোধ করেননি। তাদের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলায় সর্বমোট ৫ বছর ১ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড সাজা হয়েছে। আরও একটি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা আছে। স্থায়ী ঠিকানার ভিত্তিতে পরোয়ানাগুলো তামিলের জন্য আদালত হালিশহর থানায় পাঠান।’

বিজ্ঞাপন

‘সাজা মাথায় নিয়ে তারা চট্টগ্রাম থেকে পালিয়ে যায়। আমরা ইকবালের মোট চারটি ঠিকানা পেয়েছি ঢাকায়। এক বাসায় তারা ৬-৭ মাসের বেশি থাকত না। এভাবে ছয় বছর ধরে নিজেকে আত্মগোপনে রাখতে পেরেছিল। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকার মোহাম্মদপুরে অবস্থান শনাক্ত করে আমরা তাকে গ্রেফতার করি। দণ্ডিত তার দুই ভাইকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে’- বলন এসআই সুফল।

এদিকে, চেক প্রতারণার ২১ মামলায় আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানার ভিত্তিতে আসামি তোফাজ্জল হোসেনকে (৬২) গ্রেফতার করেছে ডবলমুরিং থানা পুলিশ। তাকে ঢাকার রামপুরা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

ডবলমুরিং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাখাওয়াত হোসেন সারাবাংলাকে জানান, তোফাজ্জলের বাসা চট্টগ্রাম নগরীর উত্তর আগ্রাবাদ এলাকায়। আগ্রাবাদের জীবন বিমা ভবনের পঞ্চম তলায় মেসার্স চট্টলা বোরিং নামে তার একটি নির্মাণ প্রতিষ্ঠান ছিল। ওই প্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্নজনকে চেক সরবরাহ করা হলেও সেগুলো ব্যাংকে প্রত্যাখাত হয় অপর্যাপ্ত তহবিলের কারণে। আর্থিক প্রতারণার শিকার ২১ জন তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। ডবলমুরিং থানায় গ্রেফতারি পরোয়ানা আসার পর ঢাকায় অবস্থান শনাক্ত করে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন