বিজ্ঞাপন

‘ভারত ফ্যাসিবাদের পক্ষে দাঁড়ালে গণতান্ত্রিক বিশ্ব নড়ে উঠবে’

September 7, 2022 | 9:34 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ভারত গণতন্ত্রের বিপক্ষে এবং ফ্যাসিবাদের পক্ষে দাঁড়ালে গণতান্ত্রিক বিশ্ব নড়ে উঠবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বরচন্দ্র রায়।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নয়াপল্টনে আয়োজিত শোকসভাপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অথিতির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। নারায়ণগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে যুবদলকর্মী শাওন নিহত হওয়ার ঘটনায় জাতীয়তাবাদী যুবদল ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এ র‌্যালি আয়োজন করে।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরে গেছেন। প্রতিবেশি দেশসহ গণতান্ত্রিক বিশ্বের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আজীবনের, কিন্তু গোলামির না। বিদেশে আমাদের বন্ধু আছে, প্রভু নেই। আমরা বন্ধুত্ব চাই, কর্তৃত্ব চাই না।’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার যাবে নিশ্চিত থাকেন। অতীতে টালবাহানা করে পার পেয়েছে, এবার পার পাবে না। ভারত সুজাতা সিংয়ের মতো আরেকজনকে পাঠিয়ে বাংলাদেশে নির্বাচন করবে, আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখবে সেই ভারতেরও কতটুকু শক্তি আছে, সেটা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। কারণ, বিশ্বায়নের এই যুগে ভারত একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। গণতান্ত্রিক বিশ্বে দৃশ্যমান ফ্যাসিবাদের পক্ষে এবং গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে দাঁড়ালে গণতান্ত্রিক বিশ্ব নড়ে উঠবে।’

বিজ্ঞাপন

গয়েশ্বর বলেন, ‘ভারতেরও সাবধান হওয়ার ব্যাপার আছে। অতীতের নীতি পরিবর্তন ও সংশোধন করার ব্যাপার আছে। বাংলাদেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নেবে কে সরকারে আসবে, কে আসবে না।‘

ভারত সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশটির সরকারের একজন মন্ত্রীর অভ্যর্থনা জানানোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘এই সরকার ক্ষমতায় থাকার যে চেষ্টা করছে, সেটা পারবে না। এই সরকারের বিরুদ্ধে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। কেউ প্রকাশ্যে, কেউ অপ্রকাশ্যে। কেউ সরবে, কেউ নীরবে।’

পুলিশের গুলিতে নারায়ণগঞ্জে শাওন, ভোলায় নুরে আলম ও আবদুর রহিম নিহতের ঘটনা প্রসঙ্গে গয়েশ্বর বলেন, ‘এই পুলিশের মধ্যে ভালো লোকও আছে। এদের মধ্যে চার ধরনের পুলিশ আছে। আমার ধারণা ছিল, যে পুলিশ শাওন কে গুলি করে হত্যা করল, কেন সে গুলি করল। তাকে ক্লোজ করে তার বিরুদ্ধে ডিপার্টমেন্টাল ব্যবস্থা নেবে। ভোলায় নুরে আলম ও আবদুর রহিমকে হত্যা করল। কোনো ব্যবস্থা নিল না। এর কারণ হলো এই সরকার নির্ভর করে পুলিশের ওপর। পুলিশ দিয়ে রাতে ভোট বাক্স ভরেছে। সে কারণে শেখ হাসিনা পুলিশের কনস্টেবলকেও ধমক দেওয়ার ক্ষমতা রাখে না। তাহলে আমাদের ধমক দেওয়ার দুঃসাহস কোথায় পায়।’

বিজ্ঞাপন

‘একটা জেলায় আমাদের এক লাখ কর্মী, সেখানে পুলিশ পাঁচশ। আমরা যদি পোশাক না চিনি অবস্থাটা কী হবে?’- বলেন গয়েশ্বরচন্দ্র রায়।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ধাপে ধাপে আন্দোলন হবে। সরকার পতন কীভাবে হয়, সেই অভিজ্ঞতা আমাদের আছে। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে। এই সরকারকে বিদায় নিতে হবে। দুর্নীতিবাজ প্রশাসনের ওপর ভর করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না, সরকারকে বিদায় নিতেই হবে।’

যুবদলের ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম মিল্টনের সভাপতিত্বে ও দক্ষিণের সদস্য সচিব গোলাম মাওলা শাহীনের পরিচালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, বিএনপির যুব বিষয়ক সহ-সম্পাদক মীল নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মহানগরের খন্দকার এনামুল হক এনাম প্রমুখ।

বক্তব্য শেষে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের নেতৃত্বে র‌্যালিটি নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে শুরু করে নাইটিঙ্গেল মোড় হয়ে আরামবাগ, ফকিরাপুল ঘুরে নয়াপল্টন কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেড/পিটিএম

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন