বিজ্ঞাপন

মানববন্ধনের জন্য ঢাকা যাওয়ার পথে ৬১ ‘দখলদার’ গ্রেফতার

September 11, 2022 | 3:30 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার জঙ্গল সলিমপুরের আলীনগরে ‘অবৈধভাব বসবাসকারী’ ৬১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উচ্ছেদ ঠেকাতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করার জন্য ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার খবর পেয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাত ১টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সীতাকুণ্ড পৌর সদরের বাইপাস এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

গত ৮ সেপ্টেম্বর জঙ্গল সলিমপুরে উচ্ছেদ অভিযানে যাওয়া জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা করে সেখানকার বাসিন্দারা। এ ঘটনায় পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়।

এর আগে, ২৩ আগস্ট সীতাকুণ্ড উপজেলার ফৌজদারহাটে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ৫ ঘণ্টা অবরোধ করে রাখা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায়ও মামলা দায়ের হয়েছিল।

বিজ্ঞাপন

সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক সারাবাংলাকে বলেন, ‘বাসে তল্লাশি চালিয়ে মোট ৬৩ জনকে আটক করা হয়েছিল। এদের মধ্যে ৬১ জনকে মামলার আসামি হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের এসব মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’

সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘জেলা প্রশাসনের চলমান উচ্ছেদ প্রক্রিয়া বানচাল করতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়েছিল বলে আমরা জানতে পেরেছি। সেই মানববন্ধনে যোগ দিতেই তারা দুটি বাসে করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন।’

জেলা প্রশাসনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সীতাকুণ্ডের দুর্গম পাহাড়ী এলাকা জঙ্গল সলিমপুর পাহাড়ে ৫টি মৌজায় প্রায় ৩ হাজার ১০০ একর সরকারি খাসজমি আছে। ‘চট্টগ্রাম মহানগর ছিন্নমূল বস্তিবাসী সমন্বয় সংগ্রাম পরিষদ’ নামের একটি সংগঠন সেই খাসজমি দখল করে প্রায় তিন দশক ধরে সেখানে পাহাড় কেটে ও জঙ্গল সাফ করে প্লট বিক্রি করে আসছিল। নিম্ন আয়ের লোকজন সেই প্লট কিনে সেখানে বসতি ও দোকানপাট গড়ে তোলে, যার মধ্যে মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাও আছে। জেলা প্রশাসন বেশ কয়েকবার উদ্যোগ নিয়েও সেখান থেকে তাদের সরাতে পারেনি। সর্বশেষ জনশুমারি অনুযায়ী ওই এলাকায় প্রায় ১৯ হাজার মানুষ বসবাস করে।

বিজ্ঞাপন

বর্তমান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান সলিমপুর থেকে অবৈধ বসতি ও স্থাপনা উচ্ছেদের মাধ্যমে সরকারি খাসজমিগুলো উদ্ধার করে সেখানে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেন। জুলাই মাস থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়।

মহাপরিকল্পনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ১২ সেপ্টেম্বর উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডাকা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস এতে সভাপতিত্ব করবেন।

সারাবাংলা/আরডি/এমও

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন