বিজ্ঞাপন

আজকের নারীই আগামীর আইটি এক্সপার্ট: স্পিকার

April 25, 2018 | 3:53 pm

।।স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: বিভিন্ন পেশায় নারীর অবদানে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। নারীর অবদান এখন অবহেলা করার সুযোগ নেই। আইটি সেক্টরে বর্তমানে নারীর অবদান খুব বেশি না হলেও আগামীতে নারীরাই হবে এক্সপার্ট। এমনটাই বললেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

বুধবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহনে প্রতিবন্ধকতা বিষয়ক গবেষণা উপস্থাপনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন স্পিকার।

ড. শিরীন শারমিন বলেন, নারীরা ইঞ্জিনিয়ার হচ্ছেন, ডাক্তার হচ্ছেন, আগামীতে আইটি খাতেও বিশেষ অবদান রাখবেন। নানা আয়োজনে একটু সুযোগ আর নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণের সুযোগটা দিলেই নারী আগামীতে আইটি এক্সপার্ট হয়ে উঠবেন।

বিজ্ঞাপন

বর্তমানে আইসিটি খাতে নারীর অবদান যে নাই তা বললে ভুল হবে। সুযোগ পেলে আরও বেশি অবদান রাখতে পারবে বলে বিশ্বাস করি। বিভিন্ন খাতে নারীর অবস্থান ও সফলতা উল্লেখ করে ড. শিরীন শারমিন বলেন, আমাকে উদাহরন দিয়ে অনেক নারী আগামীর পথে এগিয়ে যেতে পারবেন। আমি একজন নারী, আমি যদি জাতীয় সংসদ চালাতে পারি তবে আপনি কেন দেশের আইটি খাতে লিড দিতে পারবেন না। এগিয়ে আসুন, নিজের সাহস আর যোগ্যতা দিয়ে আইটিতে অবদান রাখুন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, এমপি। তিনি বলেন, আগের চেয়ে নারীরা অনেক বেশি এগিয়েছে। বিভিন্ন খাতে নারী তার যোগ্যতা প্রমাণ করেছে। আইসিটি খাতেও নারীর অবদান বেশি। আগামীতে নারী তার যোগ্যতা আইসিটি খাতে তুলে ধরতে পারবে সেজন্য দরকার একটু সুযোগ। নারী এগিয়ে যাবে সেই প্রত্যাশা সবার।

২৬ এপ্রিল বিশ্ব আন্তর্জাতিক তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি দিবস উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব আইসিটি ইন ডেভেলপমেন্ট (বিআইআইডি), ব্র্যাক, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ও প্রিনিউরল্যাব যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। আয়োজনে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের পক্ষ থেকে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংস্থাটির হেড অব চাইল্ড প্রটেকশন তানিয়া নুসরাত জামান। ব্র্যাকের অ্যাডভোকেসি ফর সোশাল চেইঞ্জ, টেকনোলজি ও পার্টনারশিপ স্ট্রেন্থেং ইউনিটের পরিচালক কেএএম মোর্শেদ ও প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের পক্ষ থেকে হেড অব আইটি রবিউল আলম চৌধুরী নারীদের মধ্যে আইসিটি সহজতর ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বিভিন্ন সুপারিশ তুলে ধরেন।

বিজ্ঞাপন

গবেষণা পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, আইসিটির ক্ষেত্রে মেয়ে ও নারী অংশগ্রহণ যদি ৩৩.৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৮২ শতাংশে উন্নীত করা যায়, তাহলে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আরও ১.৬ শতাংশ বাড়ানো সম্ভব হতো। তবে সরকারের আগামী ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ে উন্নীত হওয়ার যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তা আরও সহজতর হতো।

সারাবাংলা/এসবি/জেএএম

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন