বিজ্ঞাপন

সেই নৈরাজ্য-বিশৃঙ্খলার পথেই বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী

September 22, 2022 | 6:45 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘জনবিচ্ছিন্ন বিএনপি ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। দলটি ২০১৮ সালেও নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়েছিল। এখনও তারা একই পথে হাঁটছে। এই পথে হেঁটে বিএনপির কোনো লাভ হবে না।’

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বসুন্ধরায় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শরৎকালীন পর্বের (ফল সেমিস্টার) নবীনবরণ ও পরিচিতি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির মিছিল-সমাবেশ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা গত কয়েকদিন ধরে দেখছি বিএনপি বাঁশের লাঠি, কাঠের লাঠি, লোহার রড নিয়ে মিছিল করছে। তারা অতীতে জনগণ ও পুলিশের ওপর হামলা পরিচালনা করেছে, গতকালও মুন্সিগঞ্জে পুলিশের ওপর হামলা পরিচালনা করেছে। ফলে সহজেই অনুমেয় এখন তারা নিজেরা আতঙ্কিত এবং তারা আবার নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি জানে যে জনগণ তাদের সঙ্গে নেই। এমনকি তাদের প্রান্তিককর্মীরাও সঙ্গে নেই। তাদের কর্মসূচি শুধু ঢাকা এবং কিছু কিছু শহরভিত্তিক। গ্রামেগঞ্জে তাদের কর্মীদের কোনো সাড়া নেই। কারণ নেতাদের ওপর তাদের কোনো আস্থা নেই। এজন্য তারা নিজেরা আতঙ্কিত। আর জনগণ তাদের কাছ থেকে সরে গেছে, সেটি তারা ভালো করেই জানে এবং বুঝে। সেজন্য তারা দেশে একটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়।’

বিজ্ঞাপন

‘জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান করা সরকারের দায়িত্ব’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কেউ যদি কোনো এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পুলিশ সেই ব্যবস্থা মাঝে মধ্যে গ্রহণ করে যখন তারা পুলিশের ওপর চড়াও হয়। সে কারণে বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের সঙ্গে তারা সংঘর্ষে জড়িয়েছে আবার নিজেরা নিজেরা মারামারি করে চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জায়গায় নিজেদের সমাবেশ ভন্ডুল করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের দলের কর্মীদের সতর্ক পাহারায় থাকার নির্দেশনা দিয়েছি। যাতে কেউ যদি জনগণের ওপর হামলা পরিচালনা করে, জনগণ প্রতিরোধ করলে সঙ্গে আমাদের দলও সহায়তা করবে।‘

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হওয়ার আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে দেয়া প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘জীবনের পথে বহু যুদ্ধ লড়তে হয়। লক্ষ্যে অবিচল থেকে নিরন্তর সংগ্রাম ও অধ্যবসায়ই এই জীবনযুদ্ধে বিজয়ের মূল হাতিয়ার।‘

বিজ্ঞাপন

শিক্ষার্থীদের সংগ্রামী হতে উৎসাহিত করে বেলজিয়ামের লিম্বুর্গ ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনকারী করা হাছান মাহমুদ বলেন, ‘কেউ যখন তার চিন্তায় গেঁথে নেবে যে তাকে লক্ষ্যে পৌঁছাতেই হবে, কেবল তখনই সে লক্ষ্য অর্জনে সকল প্রতিকূলতা অতিক্রম করতে সক্ষম হয়। বিশ্ববিখ্যাত শিল্পপতি এন্ড্রু কার্নেগি অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের সন্তান ছিলেন। স্টিভ জবস বাল্যকালে প্রতি রোববার সন্ধ্যায় সাত মাইল হেঁটে মন্দিরে যেতেন একবেলা ভালো খাবারের জন্য।‘

মন্ত্রী হাছান আরো উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস দু’বার পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়ে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা শেষ করতে পারেননি। নেপোলিয়ন বোনাপার্ট খর্বকায় মানুষ হয়েও বিশ্বজয় করেছেন। ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালাম বলেছেন, যখন তুমি লক্ষ্যে অটল থাকো, তখন তোমার শরীরে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক শক্তি চালিত হতে থাকে তোমার স্বপ্নজয় পর্যন্ত। তাই জীবনে জয়ী হওয়ার জন্য প্রয়োজন অদম্য ইচ্ছাশক্তি আর একাগ্র পরিশ্রম।‘

নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন অধ্যাপক ড. আব্দুল হান্নান চৌধুরী, অধ্যাপক ড. আব্দুর রব খান, অধ্যাপক ড. জাভেদ বারী, অধ্যাপক ড. হাসান মাহমুদ রেজা, ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ইয়াসমিন কামাল। এসময় বক্তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শরীফ উদ্দীন আহমদ সম্পাদিত ‘ফিফটি ইয়ারস অভ বাংলাদেশ: আ টেল অভ আ মিরাকল‘ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন এবং ভর্তি পরীক্ষায় অধিক নম্বর পাওয়া ৫৯ জন শিক্ষার্থীর হাতে বিশেষ বৃত্তিসনদ তুলে দেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেআর/এনইউ

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন