বিজ্ঞাপন

‘চীনের বাজারে শতভাগ শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা চায় বাংলাদেশ’

September 25, 2022 | 6:54 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: চীনের বাজারে বাংলাদেশ শতভাগ শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা চায় বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ চীনের বাজারে ৯৯ শতাংশ পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধা ভোগ করছে। তবে এই সুবিধা শতভাগ করা দরকার। আমাদের দুই দেশের মধ্যে ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব এবং মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) প্রয়োজন।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকার পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ‘চায়না-বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজেস কো-অপারেশন ফোরাম ২০২২’ শীর্ষক বিজনেস নেটওয়ার্কিং প্রোগ্রামে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান। বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিসিসিসিআই) এবং চাইনিজ এন্টারপ্রাইজেস অ্যাসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশ (সিইএবি)-এর যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

ড. শামসুল আলম বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চীনের সম্ভাব্য প্রবৃদ্ধি বুঝতে পেরেছিলেন এবং দ্রুত বর্ধনশীল দেশের সঙ্গে ভালো বন্ধুত্ব শুরু করেছিলেন। বাংলাদেশ চায় চীন থেকে আরও বেশি প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ আসুক। এজন্য ইতোমধ্যে আমরা চীনা বিনিয়োগকারীদের জন্য ডেডিকেটেড বিশেষ অর্থনৈতিক জোন তৈরি করেছি।’

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশকে চীনের প্রবৃদ্ধি অনুসরণ করতে হবে। চীন বাংলাদেশকে বিভিন্নভাবে সাহায্য করছে, বিশেষ করে অবকাঠামো নির্মাণে। দেশের অর্থনীতিতে পরিবর্তন আনার বিষয়ে উল্লেখ করে শামসুল আলম চীনের সঙ্গে বাণিজ্য সফর, সাংস্কৃতিক সফর, জনগণের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক এবং আরও অনেক ক্ষেত্রে সম্পর্ক জোরদার করার আহ্বান জানান।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, ‘চীন-বাংলাদেশ দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক শক্তিশালী, পরিপূরক এবং ক্রমবর্ধমান। আমাদের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক সুবিশাল এবং মজবুত। গত শতাব্দীর ৭০-এর দশকের মাঝামাঝি চীন ও বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকে দুই পক্ষ কৃষি, বাণিজ্য, সামুদ্রিক বিষয়, জলবায়ু পরিবর্তন, অবকাঠামো, নগর ব্যবস্থাপনা এবং দারিদ্র্যের মতো ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য ব্যাপক সাফল্য অর্জন করছে।’

রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতিশীলতা আনা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, সম্পদ বৃদ্ধি এবং জনগণের জীবন-জীবিকা সহজ করা বাংলাদেশ সরকারের লক্ষ্য। সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য এবং বিশ্বস্ত বন্ধুদের একজন হিসেবে, চীন অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন উপায়ে বাংলাদেশকে ক্রমাগত সমর্থন করে, যার মধ্যে রয়েছে রেয়াতি ঋণ, বিনিয়োগ সহযোগিতা, প্রকল্প চুক্তি এবং চীন-সহায়তা প্রকল্প।

বাংলাদেশ-চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিসিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন- চীনে নিযুক্ত সদ্য বিদায়ী বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব উজ জামান, সিইএবি সভাপতি কে চাংলিয়ান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিসিসিআইয়ের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল আল মামুন মৃধা।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/পিটিএম

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন