বিজ্ঞাপন

বাবুল-ইলিয়াসসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে বনজ কুমারের মামলা

September 27, 2022 | 8:45 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় মিথ্যা ও অসত্য তথ্য সরবরাহ করা এবং তা প্রচারের অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে বাবুল আকতার ও প্রবাসে থাকা ‘সাংবাদিক’ ইলিয়াস হোসেনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদার।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বাদী বনজ কুমার মজুমদারের পক্ষে ধানমন্ডি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন পিবিআই ঢাকা মেট্রো উত্তরের পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম। পরে এটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়।

পিবিআই সদর দফতরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু ইউসুফ সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ধানমন্ডি থানায় মামলা নম্বর: ২৪। মামলাটির তদন্ত করবেন পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রবিউল ইসলাম।

মামলার আসামিরা হলেন- সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন (৪৮), বরখাস্ত হওয়া পুলিশ সুপার মো. বাবুল আকতার (৪৬), বাবুল আকতারের ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবু (৪৫) ও বাবুল আকতারের বাবা মো. আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া (৭২)।

বিজ্ঞাপন

ধানমন্ডি থানার ওসি মো. ইকরাম আলী মিয়া সারাবাংলাকে বলেন, ‘পিবিআই প্রধান স্যারের সঙ্গে কথা হয়েছে। তার পক্ষে থানায় মামলার অভিযোগপত্র নিয়ে আসেন পিবিআই ঢাকা মেট্রো উত্তরের পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম। মামলা তদন্তের একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে এরইমধ্যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’

এর আগে, মিতু হত্যা মামলার তদন্ত নিয়ে প্রবাসী ‘সাংবাদিক’ ইলিয়াস হোসেন তার ইউটিউব চ্যানেল থেকে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছিলেন। সেই ভিডিওতে দাবি করা হয়, এই মামলায় বাবুল আকতারকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ফাঁসিয়েছেন পিবিআই প্রধান বনজ কুমার। এ ছাড়া বাবুলকে রিমান্ডে নির্যাতনও করা হয়েছে।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন বাবুল আকতারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আকতার অবস্থান করছিলেন ঢাকায়। ঘটনার পর চট্টগ্রামে ফিরে তিনি পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে বাবুল আকতারের দায়ের করা মামলায় মিতু হত্যাকাণ্ডে তারই সম্পৃক্ততা পায় পিবিআই।

বিজ্ঞাপন

গত বছরের ১২ মে আগের মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন বাবুল আকতারকে প্রধান আসামি করে চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানায় মামলা দায়ের করেন মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন। ওই দিনই মামলাটিতে বাবুলকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।

স্ত্রী মিতু হত্যা মামলায় কারাগারে আছেন বাবুল আকতার।

এদিকে ইলিয়াসের ভিডিওটি প্রকাশের পরই পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদারসহ ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন করেন বাবুল আকতার। তবে মামলার আবেদন খারিজ করে দেন আদালত।

এদিকে গত ১৩ সেপ্টেম্বর মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় তার স্বামী বরখাস্ত এসপি বাবুল আকতারকে প্রধান আসামি করে ৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) জমা দিয়েছে পিবিআই।

বিজ্ঞাপন

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রসিকিউশন) কামরুল ইসলামের কাছে মামলার চার্জশিটসহ কেস ডকেট ভর্তি লাগেজ হস্তান্তর করেন তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক ওমর ফারুক। লাগেজের ওপরে লাগানো ছিল মিতুর ছবি। লেখা ছিল মিতু হত্যা মামলার কেস ডকেট। যে কেস ডকেট দেওয়া হয়েছে তা ২০৮৪ পৃষ্ঠার। এর মধ্যে মূল চার্জশিট হচ্ছে ২০ পৃষ্ঠার। আর আলামত রয়েছে ২১ ধরনের। ওই মামলার চার্জশিটে ৯৭ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।

সারাবাংলা/ইউজে/একে

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন