বিজ্ঞাপন

‘মণ্ডপের নিরাপত্তায় ছাত্রলীগ-যুবলীগ মানে শিয়ালের মুরগি পাহারা’

September 30, 2022 | 6:35 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: যুবলীগ-ছাত্রলীগকে দুর্গাপূজার মণ্ডপ পাহারার দায়িত্ব দেয়ার খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করে ‘পুলিশ বাহিনী কোথায় গেল’ এমন প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে দুর্গাপূজা উপলক্ষে ‘চট্টগ্রাম জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ছাত্র ও যুব ফ্রন্ট’র উদ্যোগে বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। নগরীর লাভলেইনে মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের হলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘গতবছর পূজামণ্ডপে যেসব হামলা হয়েছে, অধিকাংশ ঘটনায় সরকারী দলের নেতাকর্মীদের জড়িত থাকার তথ্য এসেছে। এখন আবার শুনি, সেই যুবলীগ-ছাত্রলীগকেই পূজামণ্ডপের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাহলে দেশের পুলিশ বাহিনী কোথায় গেল? রাষ্ট্রযন্ত্র ও পুলিশ বাহিনীর কোনো দায়িত্ব নেই ? যারা হিন্দুদের প্রতিমা ভাঙ্গে, জায়গা দখল করে, তাদেরকে পূজামণ্ডপ পাহারার দায়িত্ব দেওয়া মানে শিয়ালকে মুরগি পাহারা দিতে দায়িত্ব দেওয়া।’

‘বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরবাড়ি, জায়গা-সম্পত্তি দখল করে নিয়েছে। দেশের হিন্দুদের ৮০ ভাগ জায়গা-জমি দখল করেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। দূর্গাপূজার সময় তারা প্রতিমা ভাঙচুর করেছে। অথচ বিএনপি সবসময় সকল সম্প্রদায়ের মানুষের পাশে ছিল।’

বিজ্ঞাপন

বিএনপি ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে না মন্তব্য করে সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু বলেন, ‘বাংলাদেশে সংখ্যালঘু বলতে কিছুই নেই, আমরা সবাই এক, আমরা সবাই বাংলাদেশি। দেশের সংবিধান সবাইকে সমান অধিকার দিয়েছে। বিএনপি সেটাকেই ধারণ করে। আমরা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করি না। যারা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে, তারা সেটাকে ধারণ করে না। বাংলাদেশের সীমানার মধ্যে যারা বাস করে, তারা সবাই বাংলাদেশি। এই দর্শনের রাজনীতিতে হিন্দু না মুসলিম এই পরিচয়ে রাজনীতি করার সুযোগ নেই।’

একটি সত্যিকারের অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে আমরা একসাথে স্বাধীনতা ও অধিকার রক্ষার জন্য সংগ্রাম করেছি। যুগ যুগ ধরে এই দেশের মাটিতে সকল সম্প্রদায়ের মানুষ সৌহার্দ ও ভ্রাতৃত্বের মধ্য দিয়ে বসবাস করে আসছে। এই দেশ নির্মাণ করতে চেয়েছি সত্যিকার অর্থে অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ হিসেবে। কিন্তু বর্তমান অগণতান্ত্রিক সরকারের সময়ে আমরা গণতান্ত্রিক পরিবেশে বেঁচে থাকবার অধিকারগুলো সত্যিকার অর্থে ভোগ করতে পারছি না।’

‘হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্ট্রান ছাত্র ও যুব ফ্রন্টে’র সভাপতি সঞ্জয় চক্রবর্তী মানিকের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক অর্জুন কুমার নাথের পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন- চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহবায়ক গোলাম আকবর খোন্দকার, কেন্দ্রীয় সহ ধর্ম সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, দক্ষিণ জেলার আহবায়ক আবু সুফিয়ান, কেন্দ্রীয় সদস্য সাথী উদয় কুসুম বড়ুয়া, সুশীল বড়ুয়া, জয়দেব রায় জয়, ইউনুস চৌধুরী, নুরুল আমিন, শফিকুর রহমান স্বপন, সাংবাদিক হাসান মুকুল, মিহির চক্রবর্তী, শিপন কুমার দে, জালাল উদ্দীন পারভেজ, গোপাল শর্মা, জুয়েল চক্রবর্তী, সৌরভ প্রিয় পাল, মোহন দে, অপু চৌধুরী আকাশ, বাহাদুর শাস্ত্রী, মিটুন বৈষ্ণব, রবি নাথ, বাসুদেব দাস, উজ্জ্বল দত্ত, সুব্রত আইচ, সঞ্জয় বৈষ্ণব।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরডি/এনইউ

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন