বিজ্ঞাপন

ইউরোপে পোশাক রফতানিতে সুবাতাস

October 1, 2022 | 2:41 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ইউরোপে দেশের পোশাক রফতানিতে সুবাতাস বইছে। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন) ইউরোপে পোশাক রফতানি প্রবৃদ্ধিতে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রয়েছে। শুধু তাই নয়, বিশ্বে পোশাক রফতানির শীর্ষে থাকা চীনকেও ইউরোপের বাজারে প্রায় ছুঁয়েছে বাংলাদেশ। গত ছয় মাসে ইউরোপে যেখানে চীনের রফতানি ১২.২২ বিলিয়ন ডলার, সেখানে বাংলাদেশ ১১.৩১ বিলিয়ন ডলার রফতানি করে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। আর সারাবিশ্ব থেকে ইউরোপে ২৫ শতাংশ পোশাক রফতানি বাড়লেও প্রথম ছয় মাসে বাংলাদেশ থেকে বেড়েছে ৪৫ শতাংশ। ইউরোপীয় কমিশনের পরিসংখ্যান সংস্থা ইউরোস্ট্যাট প্রকাশিত এক পরিসংখ্যান থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞাপন

তথ্যমতে, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ইউরোপে পোশাক রফতানি হয়েছে, ১১.৩১ বিলিয়ন ডলার। ২০২১ সালে এই আয় ছিল ৭.৮২ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ইউরোপে পোশাক রফতানি বেড়েছে ৩.৪৯ বিলিয়ন ডলার (৩৪৯ কোটি ডলার)। বছর ব্যবধানে ইউরোপে পোশাক রফতানি ৪৪.৬০ শতাংশ।

তথ্যে দেখা যাচ্ছে, যেখানে বাংলাদেশ থেকে পোশাক রফতানি বেড়েছে ৪৫ শতাংশ, সেখানে পুরো পৃথিবী থেকে বেড়েছে ২৫ শতাংশ। ইউরোপীয় ইউনিয়নে শীর্ষ পোশাক রফতানিকারক দেশ চীন। এই সময়ে চীন থেকে ইউরোপের পোশাক রফতানি ২১.৭৮ শতাংশ বেড়েছে। দেশটির পোশাক রফতানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২.২২ বিলিয়ন ডলার।

অপরদিকে, তুরস্ক ইউরোপীয় ইউনিয়নের তৃতীয় বৃহত্তম পোশাকের উৎস। দেশটি থেকে পোশাক রফতানি বেড়েছে ২০.৩৮ শতাংশ। রফতানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০.৮৯ বিলিয়ন ডলার। একই সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নে কম্বোডিয়া, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া ও ভারত থেকে পোশাক রফতানি বেড়েছে যথাক্রমে ২৪.৯০, ৪০.১৫, ৩২.২৮ ও ২৮.৬৪ শতাংশ।

বিজ্ঞাপন

বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘মূলত করোনা মহামারী থেকে ঘুরে দাঁড়ানো ও ভোক্তাদের কেনাকাটা বৃদ্ধির ফলে ইউরোপের খুচরা বিক্রয় স্বাভাবিকের তুলনায় বেড়েছিল। সে কারণে ইউরোপে পোশাক রফতানি বেড়েছে। তবে, মূল্যস্ফীতি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে মন্দার কারণে চলতি বছরের বাকি সময়টিতে প্রবৃদ্ধির এই ঊর্ধ্বমুখী ধারা কতটা টিকে থাকবে সেটি ভাবনার বিষয়। এ ছাড়া অস্বাভাবিক দীর্ঘ গ্রীষ্মের কারণে শীতের পোশাকের চাহিদাও ইউরোপে বর্তমানে তুলনামুলকভাবে কম।’

তিনি আরও বলেন, ‘লক্ষণীয় যে বাংলাদেশের পোশাক রফতানি চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য হারে প্রবৃদ্ধি বজায় রেখেছিল। ফলে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে রফতানি সেপ্টেম্বর পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে পারে। তবে পরবর্তীতে অর্থনৈতিক অস্থিরতার কারণে খুচরা বিক্রয়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়ায় ক্রেতারা আপাতত সতর্ক অবস্থানে আছেন।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ইএইচটি/ইআ

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন