বিজ্ঞাপন

রক্তচক্ষু দেখাবেন না, সেটা আমাদেরও আছে— বিএনপিকে আ.লীগ

October 1, 2022 | 11:50 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বিএনপির উদ্দেশে কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা বলেছেন, আমরা এসেছি একটি বার্তা দিতে। সেই বার্তা হলো- আমাদের নেতাকর্মীদের এক ফোঁটা রক্ত আমরা বৃথা যেতে দেব না। মির্জা ফখরুল সাহেব, ওই তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর এদেশে ফিরে আসবে না। দেশে বিশৃঙ্খলা করবেন না। কোনোরকম রক্তচক্ষু দেখাবেন না। দেখালে রক্তচক্ষু আমাদেরও আছে।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (১ অক্টোবর) রাজধানীর হাজারীবাগে বিএনপি- জামায়াতের আগুন সন্ত্রাস, জ্বালাও-পোড়াও, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে হাজারীবাগ থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিক্ষোভ এবং প্রতিবাদ সমাবেশে নেতারা এমন পাল্টা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। এর আগে, হাজারীবাগে বিএনপির আহুত কর্মসূচি থেকে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীদের ওপর হামলায় কয়েকজন গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

হাজারীবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাজী মোহাম্মদ সেলিমের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম।

সমাবেশে ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে বলেন, ‘ফখরুল সাহেব এখন আমাদের কর্মীদের গায়ে হাত দেওয়া শুরু করেছেন, ভালো নয়। এইসব করতে গেলে খবর আছে। আবারও বলে দিচ্ছি, খবর আছে। পাল্টা জবাব পাবেন।

বিজ্ঞাপন

২০০১ সালে নির্বাচনে বিএনপি জামাতের জয় লাভের পর সারাদেশে আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের উপর নেমে আসা অকথ্য নির্মম নির্যাতনের প্রসঙ্গ টেনে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করার পর আপনারা বাড়িতে শান্তিতে ঘুমিয়ে ছিলেন। আমরা আপনাদের ওপর হামলা করিনি। আমাদের নেত্রী পরিষ্কার নির্দেশ দিয়েছিলেন, কোনো জায়গায় কোনো ধরনের গোলযোগ যে করবে তাকে আমি রেহাই দেব না। এটা কখনো ভেবেছেন?’

তিনি বলেন, ‘আপনারা আজ আবার মাতম করেন। কিসের মাতম করেন? ওদের চরিত্রই এটা। এরা ২০০৮ সালের নির্বাচনের পরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জনগণের সরকার কায়েমের পরে ওরা বাংলার জনগণের ওপর প্রতিশোধ নিয়েছে৷ ওরা মানুষকে হত্যা করেছে, ট্রেনের লাইন উপড়ে ফেলেছে। ওরা অগ্নি সন্ত্রাস করেছে, ওরা জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে। আর তারা বলে গণতন্ত্রের কথা, ভোটের কথা।

বিজ্ঞাপন

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম বলেন, ‘আজকের এই প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে আমরা শুধুমাত্র শাহাদাৎ, আব্দুল্লাহ আইরিন আর দেলোয়ারের হামলার প্রতিবাদ করতে আসিনি। আমরা এসেছি একটি বার্তা দিতে। সেই বার্তা হলো, আমাদের নেতাকর্মীদের এক ফোঁটা রক্ত আমরা বৃথা যেতে দেব না। আমরা বৃথা যেতে দিতে পারি না।’

বারবার ঘুঘু তুমি খেয়ে যাও ধান সম্বোধন করে বিএনপির উদ্দেশে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে তারা যেভাবে কথা বলছে আমাদের সেভাবে জবাব দিতে হবে। যারা হামলা চালিয়েছে তাদের আপনারা চেনেন। যারা আপনাদের ওপর হামলা চালিয়ে ভিডিও করে ফেসবুকে চালিয়েছে, তাদেরও ঠিক ওই একইভাবে সমুচিত জবাব দিতে হবে।’

সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন, শাহাবুদ্দিন ফরাজি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, স্থানীয় সংসদ সদস্য শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এনআর/পিটিএম

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন