বিজ্ঞাপন

মাঝি নির্দেশ না মানায় ইউএনও’র নির্দেশে অভিযানের ট্রলারেই আগুন

October 14, 2022 | 12:17 am

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

বরিশাল: জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত ফাতিমার নির্দেশে অভিযানের ট্রলারই পোড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ইলিশ রক্ষায় ওই ট্রলার নিয়েই তিনি নদীতে অভিযানে গিয়েছিলেন। মাঝি ইউএনও’র নির্দেশ অমান্য করায় ওই ট্রলারে অগ্নিসংযোগ করা হয় বলে জানা গেছে।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাবুগঞ্জ সুগন্ধা নদীর লঞ্চঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বাবুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী ইমদাদুল হক ও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাবুবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অগ্নিসংযোগের পর ট্রলারটি নদীতে ভাসতে ভাসতে বাহেরচর নামক স্থানে চলে যায়। বাবুগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ইনচার্জ আব্দুল মালেক বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা নৌকা নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই এবং আগুন নেভাই। তবে তার আগেই ট্রলারটির প্রায় সব অংশ পুড়ে গেছে।’

বাবুগঞ্জ থানার ওসি মাহাবুবুর রহমান বলেন, ‘তিনি (ইউএনও) মাঝি আনোয়ার হোসেনের ট্রলারে অভিযানে যান। অভিযান শেষে ঘাটে আসার পরে তিনি জব্দ জাল পোড়ান। ওই সময় ট্রলারের মাঝি জব্দকৃত মাছ সরিয়ে রেখেছেন বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। তখন ইউএনও তাকে (মাঝিকে) কিছু কথা শোনান। এতে ভয় পেয়ে মাঝি পেছন থেকে পালিয়ে যান। মাঝি পালিয়ে যাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযানে থাকা আনসার সদস্যদের নির্দেশ দেন ডিজেল দিয়ে ট্রলারে আগুন ধরিয়ে দিতে।’

বিজ্ঞাপন

ইউএনও নুসরাত ফাতিমার ফোন নম্বর বন্ধ থাকায় এ বিষয়ে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী ইমদাদুল হক বলেন, ‘অভিযান শেষে ট্রলারের মাঝি জব্দ করা বড় কিছু ইলিশ সরিয়ে রাখেন। ইউএনও’র নির্দেশ ছিল অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও ট্রলার ভেড়ানো যাবে না। কিন্তু মাঝি নির্দেশ মানেননি। সে অন্য কোথাও ট্রলার থামিয়ে ইলিশ সরিয়ে রেখেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযানে তার কথার বাইরে কাজ হলে ম্যাজিস্ট্রেসি প্রশ্নবিদ্ধ হয়। এ কারণে ইউএনও আইনগতভাবেই আগুন ধরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন।’

সারাবাংলা/পিটিএম

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন