বিজ্ঞাপন

জি এম কাদেরকে উপনেতা পদ থেকে সরানোর প্রস্তাব যাচ্ছে

October 18, 2022 | 11:16 am

আজমল হক হেলাল স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: জাতীয় সংসদের বিরোধীদলের উপনেতা পদ থেকে জি এম কাদেরকে বাদ দেওয়ার প্রস্তাব যাচ্ছে স্পিকারের কাছে। জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ এই প্রস্তাব পাঠাচ্ছেন। রওশনপন্থী দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জাতীয় সংসদের বিরোধীদলের নেতা বেগম রওশন এরশাদ স্পিকারের কাছে পাঠানো চিঠিতে জাতীয় সংসদের উপনেতা পদে ঢাকা ৬ আসনের সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদের নাম প্রস্তাব করেছেন।

গত ১ সেপ্টেম্বর বেগম রওশন এরশাদকে সরিয়ে গোলাম মোহাম্মদ কাদেরকে সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা করার সিদ্ধান্ত নেয় জাতীয় পার্টির দলীয় সংসদ সদস্যরা। বিরোধী দলীয় নেতার পদে জি এম কাদেরকে মনোনয়ন দিতে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীকে চিঠি দেন তারা। ওই চিঠির বিষয়ে সংসদ সচিবালয় এখনও কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি।

জাপা’র একাধিক নেতা জানান, দলীয় সংসদ সদস্যরা বেগম রওশন এরশাদকে তার পদ থেকে সরিয়ে চিঠি দিলেও এ ব্যাপারে অনুমোদন দেওয়ার এখতিয়ার স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর। তবে দলের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য কোনও সিদ্ধান্ত নিলে স্পিকার সাধারণত সেটি অনুমোদন করেন।

বিজ্ঞাপন

এক্ষেত্রে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেছেন, বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদকে তার পদ থেকে বাদ দেয়ার প্রক্রিয়াটি বিধি অনুযায়ী হয়নি। ওখানে তিনটি ভুল রয়েছে। প্রথমত, সংসদীয় দলের বৈঠক ডাকা হয়েছে সেই চিঠির এজেন্ডায় বিরোধী দলের নেতাকে বাদ দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ ছিল না।

দ্বিতীয়ত, বৈঠকে সভাপতিত্ব করেছেন উপনেতা জিএম কাদের। তিনি ওই চিঠিতে স্বাক্ষর করেননি। তৃতীয়ত, স্পিকারের কাছে যে চিঠি দেয়া হয়েছে সেখানে স্বাক্ষর দিয়েছেন চিফ হুইপ।

বিজ্ঞাপন

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলেছে, বিরোধী দলের চিফ হুইপ ইতোমধ্যে স্পিকারের কাছে যে চিঠিটি দিয়েছিলেন তা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। পরবর্তিতে জি এম কাদের বেগম রওশন এরশাদকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য আরেকটি চিঠি দেন।

এসব বিষয় নিয়ে সম্প্রতি স্পিকার ড. শিরীন শারমিন সারাবাংলাকে বলেছেন, বিরোধী দলের নেতাকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে যে চিঠি দিয়েছে তা আমার কাছে পেন্ডিং আছে। বিধিবিধান যাচাইবাছাই করে দেখা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদের সঙ্গে জি এম কাদেরের দ্বন্দ্ব পুরনো। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নানা বৈঠকে দু’জনের দূরত্ব সৃষ্টি হয়। তিন বছর আগে এরশাদের মৃত্যুর পর দলের কর্তৃত্ব নিয়ে কাদের ও রওশনের বিরোধে দলটি ভাঙনের মুখে পড়েছিল। তখন সিনিয়র নেতাদের হস্তক্ষেপে সমঝোতা হয়। সেই সমঝোতায় রওশনকে সংসদে বিরোধীদলীয় নেতার পাশাপাশি দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষকের পদ দেওয়া হয়। আর কাদের দলের চেয়ারম্যানের পদ রাখার পাশাপাশি সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা হন।

অসুস্থতার কারণে দীর্ঘদিন বিদেশে থাকা রওশন গত বছর দেশে ফিরে দল নিয়ে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন।

বিজ্ঞাপন

দলের রওশনপন্থীরা আগামী নভেম্বর মাসে দলের কাউন্সিল ডেকেছেন। কাউন্সিল ঘোষণার টিঠিতেও স্বাক্ষর করেন এরশাদপত্নী রওশন। এ নিয়ে দলটির মধ্যে বিভাজন আরও তীব্র হয়, ঘটনা ঘটে বহিষ্কার ও পাল্টা বহিষ্কারের। সবমিলিয়ে হযবরল অবস্থায় চলছে জাপা।

সারাবাংলা/ এএইচএইচ

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন