বিজ্ঞাপন

জাতীয় চার নেতা জীবন দিয়েছেন, আপস করেননি: খায়রুজ্জামান লিটন

November 3, 2022 | 8:52 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামানের সুযোগ্যপুত্র, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, জাতীয় চার নেতা তাদের নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি ভক্তি, শ্রদ্ধা, ভালোবাসা-আদর্শে অবিচল-অটুট ছিলেন। তারা জীবন দিয়ে গেছেন, কিন্তু আপস করেননি।’

বিজ্ঞাপন

জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে খায়রুজ্জামান লিটন এ সব কথা বলেন।

প্রধান অতিথি এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘সবচেয়ে বেশি রক্ত বিসর্জন দিয়ে স্বাধীন হওয়া বিশ্বের একমাত্র দেশ বাংলাদেশে। পাক হানাদারদের সঙেব্গ যুদ্ধ করতে গিয়ে প্রায় ত্রিশ লাখ মানুষ শাহাদাত বরণ করে। মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। অথচ স্বাধীনতার চার বছরের মধ্যেই দেশদ্রোহীরা চক্রান্তের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। সেদিন তারা নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল বঙ্গবন্ধুর নাম। কত বড় বিশ্বাসঘাতক হলে এই কাজটা তারা করতে পারে, যখন বঙ্গবন্ধু তাদের মুক্ত আকাশের নিচে স্বাধীনভাবে বিচরণের পথ করে দিয়েছিলেন। তাই এসব ঘাতকদের দেশে ফিরে এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার দাবি আজ জোরদার হচ্ছে। আমরাও এই দাবি জানাই।’

জেল হত্যার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দেশদ্রোহীরা বুঝতে পেরেছিলেন বঙ্গবন্ধুর পর এই চার নেতা দেশের হাল ধরবেন। তাই পরিকল্পিতভাবে চক্রান্তের নীল নকশা তৈরি করে জেলখানায় তাদেরকেও নৃশংসভাবে হত্যা করে দেশবিরোধী অপশক্তিরা। বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা সেদিন ভাগ্যক্রমে বেঁচে গিয়েছিলেন, তাই দেশের প্রতি অগাধ ভালোবাসা ও বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করার দীপ্ত প্রতিজ্ঞার ফলেই আবার দেশ মাথা তুলে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখতে পেরেছে। এমনকি শেখ হাসিনার হাত ধরেই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়ে উঠছে। এখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশদ্রোহী ও রাজনৈতিক অপশক্তি মোকাবিলা করে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন রাবির উপ-উপাচার্য প্রফেসর মো. সুলতান-উল-ইসলাম ও কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর মো. অবায়দুর রহমান প্রামাণিক। অনুষ্ঠানে আলোচক ছিলেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রফেসর দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর মো. আবদুস সালাম আলোচনা অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/একে

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন