বিজ্ঞাপন

গাঁজা সেবনের খবর বান্ধবীকে দেওয়ায় নোবিপ্রবিতে সংঘর্ষ

November 3, 2022 | 10:33 pm

নোবিপ্রবি করেসপন্ডেন্ট

নোবিপ্রবি: হলে গাঁজা সেবনের খবর বান্ধবীকে জানানোকে কেন্দ্র করে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) মারামারি ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) এ ঘটনায় ভিন্ন দুইটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় ও হল প্রশাসন। এর মধ্যে মারধর ও সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করতে একটি তদন্ত কমিটি এবং ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হলে ভাংচুরের ঘটনায় আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সালাম হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান রিমন সারাবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, হলে ভাংচুরের ঘটনা তদন্তে কৃষি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রায়হান আহমেদ রিমনকে আহবায়ক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে সদস্য সচিব করা হয়েছে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কামরুজ্জামানকে এবং সদস্য হিসেবে রয়েছেন বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিক্যুলার বায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রিয়াজ মোর্শেদ। তাদেরকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য পাঁচ কার্যদিবস সময় দেয়া হয়েছে। তদন্তের রিপোর্ট পেলেই জড়িতদের উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিজ্ঞাপন

অপরদিকে, মারধর ও দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় কৃষি বিভাগের অধ্যাপক ড. গাজী মোহাম্মদ মহসীনকে আহবায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর সারাবাংলাকে জানান, তিন সদস্যের কমিটিতে আহবায়ক করা হয়েছে কৃষি বিভাগের অধ্যাপক ড. গাজী মোহাম্মদ মহসীন। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন-বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাহীন কাদির ভূঁইয়া ও আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বাদশা মিয়া। তাদেরকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। রিপোর্ট পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিজ্ঞাপন

জানা যায়, বুধবার (২ নভেম্বর) ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হলের একটি কক্ষে গাঁজা সেবনের খবর বান্ধবীকে জানানোর জেরে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সৌরভ সাহা ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আশরাফুল ইসলাম স্বাধীনকে ডাব খাওয়ার কথা বলে ত্রিধর্মী উপাসনালয়ের সামনে নিয়ে যায়। এসময় কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়। পরবর্তীতে হাতাহাতি সংঘর্ষে রূপ নেয়। এসময় সিনিয়ররা এগিয়ে এলে ক্যাম্পাস রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

ঘটনা জানাজানি হলে ঘটনাস্থলে এসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল টিম পরিস্থিতি শান্ত করে সবাইকে হলে পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু হলের রুমে গিয়ে দরজা ভেঙে স্বাধীনকে ফের মারধর করেন সৌরভ ও তার বন্ধুরা। এ সময় স্বাধীনের কয়েকজন বন্ধু এগিয়ে গেলে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী প্রলেক্স বড়ুয়া আহত হন। পরে উভয় পক্ষ পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় জড়ায় এবং ভাষাশহীদ আব্দুস সালাম হলে ভাঙচুর চালায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর সারাবাংলাকে বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই এবং পরিস্থিতি শান্ত করে সবাইকে হলে পাঠিয়ে দেই। এই ঘটনায় ভিন্ন দুইটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। জড়িতদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। রিপোর্ট পেলেই আমরা সে আলোকে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এনইউ

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন