বিজ্ঞাপন

আইএমএফ‘র কাছে যেভাবে চেয়েছিলাম সেভাবেই ঋণ পাচ্ছি: অর্থমন্ত্রী

November 9, 2022 | 4:54 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, আমরা যেভাবে চেয়েছিলাম সেভাবেই আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ পেতে যাচ্ছি।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (৯ নভেম্বর) আইএমএফ প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন উপস্থিত ছিলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ঋণের পরিমাণ সাড়ে চার বিলিয়ন ডলার। সাত কিস্তিতে ২০২৬ পর্যন্ত এ ঋণ আসবে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে ঋণের প্রথম কিস্তি ৪৪৮ মিলিয়ন ডলার পাওয়া যাবে। বাকি ঋণ প্রতি ছয় মাস অন্তর অন্তর ৬৬০ মিলিয়ন এসডিআর (স্পেশাল ড্রয়িং রাইটস) হিসেবে ৬টি সমান কিস্তিতে ২০২৬ সালের মধ্যে পাওয়া যাবে।

বিজ্ঞাপন

আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আইএমএফ মিশন জানিয়েছে, তাদের কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী তিন মাসের মধ্যে ঋণপ্রস্তাবের সব আনুষ্ঠানিকতা ও চূড়ান্ত বোর্ড অনুমোদন শেষ হবে। ঋণটি ২০২৬ সাল পর্যন্ত চার বছর মেয়াদি।

তিনি বলেন, মোট ঋণের পরিমাণ হবে ৩ দশমিক ৪৬৮ বিলিয়ন এসডিআর। যা বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী প্রায় সাড়ে ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, এসডিআর মূলত আইএমএফের এক ধরনের মুদ্রা, যা মার্কিন ডলারসহ পাঁচটি মুদ্রায় রূপান্তর করা যায়। আইএমএফ-এর এই মুদ্রা সদস্য দেশগুলোর রিজার্ভ বাড়াতে সহায়তা করে।

সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী বলেন, পাঁচ বছরের গ্রেস পিরিয়ড দিয়ে পরবর্তী ১০ বছরের মধ্যে এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে। ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে আইএমএফের পক্ষ থেকে কোনো শর্ত দেওয়া হয়নি। আমরা অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যেসব বিষয় সংস্কারের কথা ভাবছি, তারাও একই কথা বলেছে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, আইএমএফ রাজস্ব আয় বাড়াতে বলছে। এটা আমাদেরই কথা। আমরা রাজস্ব আয় বাড়াতে গত কয়েক বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছে।

বাংলাদেশের খেলাপি ঋণ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, খেলাপি ঋণ বাড়ছে না। আমাদের খেলাপি ঋণ ১০ শতাংশের নিচে আছে। আইএমএফ খেলাপি ঋণ ১০ শতাংশের নিচে রাখতে বলেছে।

বিজ্ঞাপন

আরেক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারাবিশ্বের অর্থনীতি চাপে রয়েছে। আমরাও এই চপের বাইরে না। তবে পৃথিবীর অনেক দেশের তুলনায় আমরা ভালো আছি।

চলতি বছরের ২৪ জুলাই ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ চেয়ে আইএমএফকে চিঠি দেয় বাংলাদেশ। ঋণ দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করতে আইএমএফের একটি প্রতিনিধি দল গত ২৬ অক্টোবর ঢাকায় আসে।

সারাবাংলা/জিএস/আইই

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন