বিজ্ঞাপন

পরীমনির বিরুদ্ধে মাদক মামলা চলবে

November 14, 2022 | 3:21 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: চলচ্চিত্র নায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলার কার্যক্রম বাতিলে আবেদন না মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১৪ নভেম্বর) শুনানি শেষে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালত এই আদেশ দেন।

এদিন পরীমনির পক্ষের আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত (সুরভী) মামলার বিচার কার্যক্রম বাতিলের আবেদন করেন। আবেদনের উল্লেখ করা হয়, মামলাটি এরইমধ্যে ১৩৫ কার্যদিবস পার হয়েছে। তবে এ বিষয়ে উচ্চ আদালত থেকে সময় বাড়ানোর কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি। এ ছাড়াও এই মামলার সর্বোচ্চ সাজা ৫ বছরের কারাদণ্ড হওয়ায় এই আদালতে চলতে পারেন না।

অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মাহবুবুল আলম এই আবেদনের বিরোধীতা করে শুনানি করেন। তিনি বলেন, যদিও আইনে বলা রয়েছে ১২০ কার্যদিবসের মধ্যে মামলা শেষ করতে হবে। তবে এটা বাধ্যতামূলক নয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত মামলার কার্যক্রম বাতিলের আবেদন খারিজের আদেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

এদিন পরীমনির বিরুদ্ধে উত্তরা র‍্যাব-১ এর এসআই আবু হেনা মো. মোস্তফা কামাল আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। তবে এই সাক্ষীর জেরা করার জন্য আসামি পক্ষে সময়ের আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ১৫ ডিসেম্বর জেরার জন্য তারিখ ধার্য করেন।

এদিকে পরীমনির পক্ষে আইনজীবীরা হাজিরা দেন। তবে পরীমনির ম্যানেজার আশরাফুল ইসলাম দিপু ও খালু কবীর হাওলাদার আদালতে হাজিরা দেন।

গত ৫ জানুয়ারি পরীমনিসহ তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

বিজ্ঞাপন

গত বছরের ১৫ নভেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজের বিচারক পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দেওয়া চার্জশিট গ্রহণ করেন। গত ১২ অক্টোবর মামলাটি ঢাকার সিএমএম আদালত থেকে মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়।

গত ৪ অক্টোবর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় পরীমনিসহ তিন জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক কাজী মোস্তফা কামাল।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৪ আগস্ট বিকেলে বনানীর ১২ নম্বর রোডের পরীমনির বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব। এ সময় ওই বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দামি মদ, মদের বোতলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। এরপর ৫ আগস্ট চার দিন এবং ১০ আগস্ট দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গত ১৩ আগস্ট রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর আবারও ১৯ আগস্ট একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর গত ১৯ আগস্ট কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এরপরে ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ তার জামিন মঞ্জুর করেন। পরের দিন পরীমনি কারামুক্ত হন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এআই/ইআ

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন