বিজ্ঞাপন

হাইকোর্টের রায়ে শ্যামসুন্দর ফিরে পেলেন হেমা শর্মাকে

November 14, 2022 | 4:46 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

রংপুর: স্ত্রীকে ফিরে পেতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়া রংপুরের বদরগঞ্জের যুবক শ্যামসুন্দর রায় ফিরে পেয়েছেন তার স্ত্রী হেমা শর্মাকে। গতকাল রোববার হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ শুনানি শেষে শ্যামসুন্দরের হাতে তার স্ত্রীকে তুলে দেন।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১৪ নভেম্বর) শ্যাম সুন্দর রায় ও তার আইনজীবী তাজুল ইসলাম সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। একসঙ্গে থাকার ক্ষেত্রে কোনো বাধা না থাকায় এবং আদালতের এ রায়ে সন্তুষ্ট এই দম্পত্তি।

শ্যাম সুন্দর রায় জানান, দু’জনের মধ্যে পরিচয়ের পর গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। সম্পর্কের একপর্যায়ে ছেলের পরিবার থেকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে মেয়ের পরিবার রাজি হয়নি। এজন্য পরিবারের অমতে চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি হেমা শর্মাকে অন্যত্র নিয়ে বিয়ে করেন শ্যামসুন্দর রায়। তবে মেয়ের পরিবার এ বিয়েতে আপত্তি জানান। মেয়ের পরিবার বেশ বিত্তশালী হওয়ায় এই সম্পর্ক তারা মেনে নিতে পারেননি।

তাদের বিয়ের খবর জানার পর হেমার বাবা মেয়েকে অপ্রাপ্তবয়স্ক দেখিয়ে শ্যামসুন্দর রায়ের বিরুদ্ধে বদরগঞ্জ থানায় অপহরণ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অভিযোগ দেন। মামলার পর পুলিশ হেমাকে স্বামীর বাড়ি থেকে তুলে এনে তার বাবার হাতে তুলে দেয়। পরে মেয়েকে আত্মীয়স্বজনদের বাড়িতে লুকিয়ে রাখায় স্ত্রীকে ফিরে পেতে হাইকোর্টে যান শ্যাম সুন্দর। গত ৩১ অক্টোবর আইনজীবীর মাধ্যমে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

আইনজীবী তাজুল ইসলাম জানান, শ্যামসুন্দর রায়ের আবেদন আমলে নিয়ে আদালত হেমা শর্মাকে সশরীরে হাজির করতে রংপুরের পুলিশকে নির্দেশ দেন উচ্চ আদালত। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল রোববার (১৩ নভেম্বর) হেমা শর্মাকে হাইকোর্টে হাজির করে পুলিশ। এদিন বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ হেমা শর্মাকে স্বামী শ্যামসুন্দর রায়ের সঙ্গে থাকার নির্দেশ দেন।

শ্যাম সুন্দর রায় (২৪) বদরগঞ্জ পৌর শহরের মাস্টারপাড়া গ্রামের দীজেন্দ্র নাথ রায়ের ছেলে। আর হেমা শর্মা একই উপজেলার পৌর শহরের পুরাতনবাজার এলাকার রাকেশ শর্মার মেয়ে।

রায়ের প্রতিক্রিয়ায় শ্যামসুন্দর রায় বলেন, ‘দীর্ঘদিন পরে আদালতের নির্দেশে স্ত্রীকে ফিরে পাওয়ায় ভীষণ খুশি হয়েছি। হাইকোর্টে আমি ন্যায্য বিচার পেয়েছি। এ জন্য আমাকে অনেক কষ্ট ও ধৈর্য ধরতে হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

একই অভিব্যক্তি প্রকাশ করলেন হেমা শর্মাও। তিনি বলেন, ‘আদালতের মাধ্যমে স্বামীর কাছে ফিরে যেতে পেরেছি, এর চেয়ে খুশির আর কিছু নেই।’

সারাবাংলা/এমও

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন