বিজ্ঞাপন

‘সরকার হটানোই বিএনপির মূল চ্যালেঞ্জ’

November 17, 2022 | 10:21 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: সরকারকে হটানোই বিএনপির মূল চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত উম্মুক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে এই আলোচনা সভারে আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।

ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘এখন আমাদের মূল দাবি— সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বাতিল, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু নির্বাচন। আমরা চাই খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে মুক্তভাবে রাজনীতি করতে দেওয়ার পরিবেশ। সে কারণে সরকার হটানোই বিএনপির এখন মূল চ্যালেঞ্জ।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘গায়ের জোরে রাতে ভোট ডাকাতি করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে। এজন্যই তারা বিএনপিকে ভয় পায়। চাপাবাজি দিয়ে দেশ পরিচালনা করতে গিয়ে তারা ব্যর্থ হয়েছে। গণতন্ত্র হত্যা ও অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে আওয়ামী লীগ। তারা আইএমএফ’র প্রশ্নের জবাব দিতে পারেনি। তাদের লুটপাটের কারণে দেশে ডলার সঙ্কট দেখা দিয়েছে। নতুনভাবে এলসি খোলা যাচ্ছে না। বিদ্যুতের লোডশেডিং, জ্বালানি ও নিত্যপণ্যেও মূল্যবৃদ্ধি এবং সরকারের অপশাসনের জনগণ আজ অতিষ্ঠ। তারা আজ এই সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ।’

ড. মোশাররফ বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতারা যেখানে ব্যর্থ, জিয়াউর রহমান সেখানে সফল। ৭ নভেম্বর দিনকে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার বিতর্কিত করছে। অথচ এই দিনটি বাংলাদেশের সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার জন্য একটি টার্নিং পয়েন্ট। ৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আকাঙ্ক্ষা পুনরুদ্ধার হয়েছিল।’

তিনি বলেন, ‘স্বাধীনের পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাবস্থায় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেশে একদলীয় বাকশালী শাসন কায়েম করেছিল। সমাজান্ত্রিক অর্থনীতির নামে লুটপাটের মাধ্যমে দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করেছিল। দেশে রক্ষী বাহিনী তৈরি করে মুক্তিযোদ্ধাদের হত্য ও অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করেছিল। এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে দেশে পরিবর্তন আসে। সেই পরিবর্তনকে আবারও একটি পাল্টা অভ্যুত্থান করে থামাতে চেয়েছিল খালেদ মোশাররফ।’

বিজ্ঞাপন

পূর্বঘোষিত উন্মুক্ত আলোচনা সভা দুপুর ২ টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বেলা ১২ টার আগেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা নয়াপল্টনে আসতে শুরু করে। রাজধানীর বিভিন্ন ইউনিটের পাশাপাশি ঢাকার আশপাশের জেলা থেকেও সংগঠনের নেতাকর্মীরা জড়ো হয়। ছাত্রদলের এ সভা ঘিরে নয়াপল্টনের একটি সড়ক বন্ধ হওয়ায় রাজধানীর শান্তিনগর, কাকরাইল মোড়, পুরানা পল্টনের বিজয়নগর, দৈনিক বাংলা ও ফকিরাপুল এলাকায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। নয়াপল্টন ও আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল।

ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলে পরিচালনায় উন্মুক্ত আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপি নেতা আবদুস সালাম, আমানউল্লাহ আমান, মীর সরফত আলী সপু, ফজলুল হক মিলন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, আজিজুল বারী হেলাল, শহীদুল ইসলাম বাবুল, রফিকুল আলম মজনু, আমিনুল হক, রাজীব আহসান, ফজলুর রহমান খোকন, প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন, ছাত্রদলের রাশেদ ইকবাল খান, তানজিল হাসান, তবিবুর রহমান সাগর, মাহবুব মিয়া, রাকিবুল ইসলাম রাকিব, আবু আফসান মো. ইয়াহিয়া প্রমুখ।

সারাবাংলা/ এজেড/এনইউ

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন