বিজ্ঞাপন

অপরিপক্ক নতুন আলুর কেজি ৮০ টাকা

November 19, 2022 | 3:05 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

দিনাজপুর: দেশের বিভিন্ন জায়গার মতো দিনাজপুরের হিলি বাজারেও দেখা মিলছে নতুন আলু। মৌসুমের শুরুতে বাজারে নতুন আলু উঠালেও দামে কিন্তু চড়া। বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজিতে। আর নতুন আলু পেয়েই খুশি ক্রেতারা। তবে দাম বেশি হওয়ায় এই আলু কিনতে পারছেন না নিম্ম আয়ের মানুষেরা। আগামী দুই তিন সপ্তাহের মধ্যেই মাঠ থেকে নতুন আলু উঠতে শুরু করলেই দাম কমে যাবে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (১৯ নভেম্বর) সকালে হিলির সবজি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, নতুন আলু ৮০, নতুন পেঁয়াজ ৩০, শিম ৫০, বেগুন ২০, করলা ৫০, ফুলকপি ৩০, বাঁধাকপি ২০, শজনে ১৬০, ঢেঁড়স ৬০, শসা ৮০, মুলা ১০, পোটল ২০ টাকায় বিক্রয় হচ্ছে।

নতুন আলু বিক্রয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে সবজি ব্যবসায়ী বলেন, ‘এখনো হিলির চাষিদের আলু বাজারে আসেনি। পার্শ্ববর্তী পাঁচবিবির হাট থেকে ৮০ টাকা কেজি ১ মণ আলু পাইকারি কিনেছি। এখানে ৮০ টাকায় বিক্রয় করছি। অনেকে শখ করে নুতন আলু ক্রয় করেছেন।’

বাজারে সবজি ক্রেতা একলাছুর বলেন, ‘প্রতিদিনের খাবারের জন্য সবজি কিনতে আসছি। বাজারে নতুন আলু দেখে ভালো লাগলো। তাই ৮০ টাকা দিয়ে এক কেজি ক্রয় করে নিয়েছি। তবে আলুগুলো এখনো পরিপক্ক হয়নি। এখন খেতে ভালো হলেই হয়। তবে পুরাতন আলুর দামও বেশি।’

বিজ্ঞাপন

হিলি চার মাথা এলাকার ভ্যান চালক হরমুজ আলী বলেন, ‘বাজারে নতুন আলু উঠেছে, যে দাম তাতে আমাদের মতো গরিব মানুষের কিনে খাওয়া স্বপ্নের ব্যাপার। কারণ, আমরা সারাদিন ভ্যান চালিয়ে ৩০০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা আয় করি। আলু কিনতেই যদি ৮০ টাকা চলে যায়, তাহলে সংসারের অন্য জিনিসের জোগান কিভাবে দেব।’

এদিকে হাকিমপুর কৃষি অফিসের তথ্যমতে, উপজেলায় ৯২৫ হেক্টর জমিতে কয়েকটি জাতের আলু চাষ করা হয়েছে। আর সবজি চাষ করা হয়েছে প্রায় ২৫০ হেক্টর জমিতে। সবচেয়ে বেশি আলু চাষাবাদ করা হয়েছে উপজেলার খট্টামাধবপাড়া এলাকায়।

সরেজমিনে শনিবার দুপুরে মাধবপাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মাঠের আলু পরিচর্য়ায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। কোথাও দল বেঁধে একসঙ্গে আলুর চারা পরিচর্যায় কাজ করছেন তারা। শাখা যমুনানদীর পাড়ে বিস্তৃত মাঠের এখন সবুজের সমারোহ।

বিজ্ঞাপন

সেখানেই কথা হয় আলু চাষি সোহেল রানা সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের এই এলাকায় উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলু আবাদ হয়ে থাকে। বর্তমানে আমাদের এই মাঠে রোমানা এবং ক্যারেজ/রডেটু জাতের আলুর চাষ বেশি করা হয়েছে। আশা করছি বিঘাপ্রতি ৪০ মণ ছাড়িয়ে যাবে।’

সাখোয়াত নামের এক কৃষক বলেন, ‘এবার আমি ২০ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি। সারের যে দাম, তাতে আলুর দাম ভালো না হলে আমাদের লোকশান গুনতে হবে। আশা করছি আগামী মাসের ১০ থেকে ১৫ তারিখের মধ্যেই নতুন আলু বাজারে তুলতে পারব।’

জানতে চাইলে হাকিমপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. মোছা. মমতাজ সুলতানা বলেন, ‘আমাদের এই উপজেলায় ৯২৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়েছে। এছাড়াও ২৪৮ হেক্টর জমিতে অন্যান জাতের সবজি রোপণ করা হয়েছে। আশা করছি আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এখানকার নতুন আলু বাজারে চলে আসবে।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এনএস

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন