বিজ্ঞাপন

উপকূলীয় শহর শক্তিশালী করতে এডিবির সহায়তা

November 23, 2022 | 8:47 am

জোসনা জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: উপকূলীয় শহর জলবায়ু সহনীয় করতে সহায়তা দিচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এজন্য উপকূলীয় শহর জলবায়ু সহিষ্ণু শীর্ষক একটি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে একনেক। এটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা। এরমধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৪৩০ কোটি টাকা এবং এডিবির ঋণ সহায়তা ২ হাজার ১১৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা ও অনুদান ৩৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।

বিজ্ঞাপন

পরিকল্পনা কমিশনের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা সারাবাংলাকে বলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে প্রস্তাব পাওয়ার পর চলতি বছরের ১০ আগস্ট অনুষ্ঠিত হয় প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা। ওই সভায় দেওয়া সুপারিশগুলো প্রতিপালন করায় প্রকল্পটি গতকাল মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়। অনুমোদন পাওয়ায় প্রকল্পটি ২০২৯ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর।

প্রস্তাবে বলা হয়, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রণয়ন করা কোস্টাল ডেভলপমেন্ট স্ট্রাটেজি (সিডিএস-২০০৬) অনুযায়ী উপকূলীয় ১৯টি জেলার মধ্যেও দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে ১১টি জেলা প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ হটস্পট হিসাবে চিহিৃত করা হয়েছে। চলমান উপকূলীয় শহর পরিবেশগত অবকাঠামো প্রকল্প প্রণয়নের শুরুতে এডিবির নিয়োগ করা প্রজেক্ট প্রিপারেটরি টেকনিক্যাল অ্যাসিসটেন্স (পিপিটিএ) ১১টি জেলার অন্তগর্ত। জেলাগুলো হচ্ছে- বরিশাল, পিরোজপুর, ভোলা, খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী, বরগুনা, ঝালকাঠি, শরীয়তপুর ও গোপালগঞ্জ। ৪৩টি পৌরসভায় নির্ধারিত সূচকের ভিত্তিতে নির্বাচিত অগ্রাধিকার তালিকা প্রস্তুত করা হয়। এই অগ্রাধিকার তালিকা অনুযায়ী অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চলমান প্রকল্পের আওতায় ৩টি ব্যাচে ১০টি পৌরসভাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। পরবর্তীতে চলমান উপকূলীয় শহর পরিবেশগত অবকাঠামো প্রকল্পের ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয় উপকূলীয় শহর পরিবেশগত অবকাঠামো প্রকল্প প্রণয়নের জন্য এডিবির কান্ট্রি অপারেটিওন বিজনেস প্ল্যানে (সিওবিপি) ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রাথমিক বরাদ্দ ছিল।

প্রকল্পের আওতায় নতুন পৌরসভা অন্তর্ভুক্ত করার উদ্দেশ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ গঠিত পৌরসভা নির্বাচন কমিটির সভা ২০১৯ সালের ১৩ জুন অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় অগ্রাধিকার তালিকা ও নির্ধারিত সূচক পর্যালোচনা করে ২২টি পৌরসভা দ্বিতীয় পর্বের প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সুপারিশ করা হয়। পরে গত বছরের ২০ থেকে ২৬ জানুয়ারি প্রকল্প প্রস্তুতির জন্য এডিবির সঙ্গে ভার্চুয়াল কনসালটেশন মিশন পরিচালিত হয়। গত ১৭ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি এডিবির সঙ্গে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন অনুষ্ঠিত হয়। মিশনে জানানো হয়, এডিবি আরও ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এডিবির দেওয়া অর্থ ও ফাইন্ডিং মিশনের এইড মেমোরির উপর ভিত্তি করে প্রস্তাবিত উপকূলীয় শহর সহিষ্ণু প্রকল্পটির উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) অনুমোদনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

প্রকল্পের মূল কার্যক্রম হচ্ছে, ৬৬ দশমিক ৫৪ একর ভূমি অধিগ্রহণ, পরামর্শক সেবা, ৩০৯ দশমিক ৯৮ কিলোমিটার সড়ক, ১ হাজার ৪৫ দশমিক ৮০ মিটার ব্রিজ, ১৪০ দশমিক ৯৭ কিলোমিটার ড্রেইনেজ ও ফ্লাড কন্ট্রোল, ২১টি স্কুল কাম-সাইক্লোন সেন্টার, ৪টি সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট, ২টি ওপেন স্পেস, ৩টি নেচার বেস সলিউশন, ২২টি বস্তির উন্নয়ন, ২১টি মার্টিপারপাস মার্কেট এবং ৪টি বাস টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে।

এ বিষয়ে প্রকল্পটির দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) সত্যজিত কর্মকার সারাবাংলাকে বলেন, ‘প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ঝুঁকিপূর্ণ নির্বাচিত উপকূলীয় শহরগুলোর জলবায়ু ও দুর্যোগ সহনশীলতা শক্তিশালী করা। একইসঙ্গে মহিলা এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন করা সম্ভব হবে।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেজে/এনএস

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন