November 24, 2022 | 8:39 pm
সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) পঞ্চম জাতীয় ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল। শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে রাজধানীর ঐতিহাসিক শহিদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
স্বাচিপ নেতাদের তথ্যমতে, বর্তমানে দেশে স্বাচিপের সদস্য সংখ্যা ১৫ হাজারেরও বেশি। সংগঠনটির প্রতি ৫ বছর পর পর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। ২০১৫ সালের ১৩ নভেম্বর স্বাচিপের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেদিন রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হলেও ওইদিন কমিটি গঠনের দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রীর ওপর ছেড়ে দিয়ে সম্মেলন স্থগিত করা হয়। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান সভাপতি ও অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ মহাসচিব হিসেবে নির্বাচিত হন। দলীয় গঠনতন্ত্র অনুসারে পাঁচ বছর পর অর্থাৎ ২০১৮ সালের নভেম্বরে পরবর্তী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারি কারণে স্বাচিপের সম্মেলনের আয়োজন করা সম্ভব হয়নি।
ইতোমধ্যে সম্মেলনকে ঘিরে চিকিৎসকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। সংগঠনটির শীর্ষ পদে স্থান পেতে চিকিৎসকদের অনেকেই দলীয় হাইকমান্ডের নেতাদের সঙ্গে দেখা করে পদপ্রার্থী হিসাবে পরিচয় হিসাবে দোয়া চাইছেন।
স্বাচিপের নেতারা জানান, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে স্বাচিপের নেতৃত্বে পরীক্ষিত ও যোগ্য নেতারাই নেতৃত্বের দৌঁড়ে এগিয়ে আছেন। টানা মেয়াদে ক্ষমতায় রয়েছে আওয়ামী লীগ। এতে দলটির ভিতরে অনেক সুবিধাভোগী পেশাজীবীর প্রবেশ হয়েছে। স্বাচিপের দুর্দিনে যাদের দেখা যায়নি এখন তাদের অনেকেই বড় নেতা দাবি করে সম্মেলনকে কেন্দ্র করে পদ পাওয়ার জন্য যোগাযোগ করছেন। তাই হয়তো এবারও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের ওপর ভিত্তি করেই দলীয় ফোরামের চিকিৎসকদের শীর্ষ নেতা তথা সভাপতি ও মহাসচিবসহ গুরুত্বপূর্ণ পদের ঘোষণা আসতে পারে।
এবিষয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা সারাবাংলা’কে বলেন, ‘মুজিব আদর্শের অনুসারী এবং নেত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন, বিশ্বস্ত ও যোগ্যরাই আসবে শীর্ষ নেতৃত্বে। স্বাধীনতা স্বপক্ষের শক্তির এই প্লাটফর্মে বিগত সময়েও যোগ্যদের মূল্যায়ন করেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। এবারের সম্মেলনের মধ্য দিয়েও যোগ্যদের হাতে নেতৃত্ব আসবে, এটাই আমরা আশা করছি।’
সংগঠনটির বর্তমান সভাপতি পদে রয়েছেন অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান। এবারও তিনি সভাপতি পদে আসতে পারেন বলে মনে করেন অনুসারীরা। তবে দীর্ঘদিন থেকে তিনি একই পদে থাকার কারণে বাদ পড়ার আশঙ্কাই দেখছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। এবার সভাপতি পদের জন্য বিএসএমএমইউ’র সাবেক উপাচার্য নিউরোসার্জন অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া, ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরী, কোষাধক্ষ্য অবসরপূর্ব ছুটিতে যাওয়া স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. ইউসুফ ফকিরের নাম শোনা যাচ্ছে।
মহাসচিব পদে বর্তমান মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজসহ মহাসচিব পদে সংগঠনটির নেতাকর্মীদের মাঝে বেশি আলোচনায় রয়েছেন বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ শাখার ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং স্বাচিপের কার্যকরী কমিটির সদস্য ডা. মো. তারিক মেহেদী (পারভেজ), রংপুর মেডিকেল কলেজের ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ডা. আবু রায়হান, উত্তম কুমার বড়ুয়া, ডা. শাহরিয়ার নবী শাকিল ও ডা. জুলফিকার লেলিনসহ অনেকের।
ডা. তারেক মেহেদী পারভেজ সারাবাংলাকে বলেন, ‘যারা শিক্ষাজীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাদের মধ্যে থেকেই নেতৃত্ব আসুক। তবে নেতৃত্ব আগামী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে পারবে। সম্মেলনে আমাদের শীর্ষ নেতৃত্ব নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতির সিদ্ধান্তই হবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।’
সারাবাংলা/এনআর/এনএস